৫ মাসে রেকর্ড দান পাগলা মসজিদে
কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দান সিন্দুক থেকে এবার দুই কোটি ৩৮ লাখ ৫৫ হাজার ৫৪৫ টাকা পাওয়া গেছে। যা দান সিন্দুক থেকে পাওয়া দানের হিসাবে এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ। শনিবার সকাল ১০টায় দান সিন্দুক খোলার পর গণনা শেষে বিকালে টাকার এই হিসাব পাওয়া যায়।
বিপুলপরিমাণ দানের এই নগদ টাকা ছাড়াও বিভিন্ন বৈদেশিক মুদ্রা ও দান হিসেবে বেশ কিছু স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে। বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কারও অন্যবারের চেয়ে পরিমাণে বেশি পাওয়া গেছে।
এর আগে সর্বশেষ গত বছরের ২২ আগস্ট দান সিন্দুক খোলা হয়েছিল। তখন সর্বোচ্চ এক কোটি ৭৪ লাখ ৮৩ হাজার ৭১ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। সাধারণত তিন মাস পর পর পাগলা মসজিদের দান সিন্দুক খোলা হয়। কিন্তু করোনার কারণে এবার ৫ মাস ৪ দিন পর এসব দান সিন্দুক খোলা হয়েছে। এর আগে গত বছরের ২২ আগস্ট ৬ মাস ৭ দিন পর দান সিন্দুক খোলা হয়েছিল।
কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে পাগলা মসজিদ অন্যতম। শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে মাত্র ১০ শতাংশ ভূমির ওপর এই মসজিদটি গড়ে উঠেছিল। সময়ের বিবর্তনে আজ এ মসজিদের পরিধির সাথে সাথে বেড়েছে এর খ্যাতি ও ঐতিহাসিক মূল্যও। মসজিদকে কেন্দ্র করে একটি অত্যাধুনিক ধর্মীয় কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম পাগলা মসজিদের টাকা গণনার কাজ পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক বলেন, পাগলা মসজিদকে একটি অন্যতম আধুনিক ইসলামিক স্থাপত্য হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। বিশিষ্টজনসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে বসে এ ব্যাপারে করণীয় নির্ধারণ করা হবে।
টাকা গণনা কার্যক্রম তদারকির দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল্লাহ আল মাসউদ জানান, পাগলা মসজিদের দান সিন্দুক খুলে এবার দুই কোটি ৩৮ লাখ ৫৫ হাজার ৫৪৫ টাকা পাওয়া গেছে। টাকাগুলো রূপালী ব্যাংকে জমা করা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশের মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাগলা মসজিদের দান সিন্দুকে জমা পড়েছে।