পথে অশ্লীল পোস্টার, বিব্রত স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা

আজাদ সিনেমা হলের সামনে অশ্লীল ছবির পোস্টার
আজাদ সিনেমা হলের সামনে অশ্লীল ছবির পোস্টার  © টিডিসি ফটো

পুরান ঢাকার আজাদ সিনেমা হলের বাহিরে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ পোস্টারিংয়ের ফলে বিব্রত আশপাশের স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুলে যাতায়াতের সময় চোখের সামনে অশ্লীল পোস্টারগুলো পড়লে সন্তানদের সামনে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয় তাদের।

অভিভাবকদের অভিযোগ, সন্তানদের সামনে এমন অশ্লীল এবং কুরুচিপূর্ণ পোস্টারের মুখোমুখি হওয়ার মত লজ্জার বিষয় আর কিছু নেই। অনেক সময় বাধ্য হয়ে আমরা বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করি। যা আমাদের জন্য অনেক কষ্টসাধ্য হয়।

সরেজমিনে ওই এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, লক্ষ্মীবাজার, সদরঘাট, বাংলাবাজার এলাকাতে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় মিলিয়ে রয়েছে প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ফলে সকাল থেকেই হাজারো শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের আনাগোনা থাকে এই এলাকাতে। যাতায়াত সুবিধার জন্য অনেকেই ব্যবহার করেন সদরঘাট-রায়সাহেব বাজার রাস্তা। আর এই রাস্তার পাশে এবং সিএমএম কোর্টের সামনে আজাদ সিনেমা হল। আর এই সিনেমা হলের সামনেই রয়েছে টাঙানো রয়েছে সিনেমার অশ্লীল সব পোস্টার।

পুরান ঢাকার স্থায়ী বাসিন্দা মুকুল সেন তার ছেলে সুজয় সেনকে নিয়ে গভঃ মুসলিম হাইস্কুলে যাচ্ছিলেন। মুকুল দাস বলেন, আমাদের বাসা নাবাবপুর হওয়ায় আমাদেরকে রায়সাহেব বাজারের রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। ফলে প্রতিনিয়তই ওই পোস্টারগুলি সম্মুখিন হতে হয়। আমাদের সন্তানেরা এই পোস্টারগুলা দেখে পজিটিভ কিছু নিতে পারবে কি? তাদের মনে ছোট থেকেই বাংলা সিনেমা নিয়ে একটা সন্দেহ থেকে যাবে যে বাংলা সিনেমা মানেই এসব অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ দৃশ্য। যার ফলে তারা আস্তে আস্তে বাংলা বিনোদন থেকে দূরে সরে যাবে। সিনেমা হলের আশেপাশে রয়েছে জেলা প্রসাশকের কার্যালয়, সিএমএম কোর্ট— তাদের নজরে কি এগুলা পড়ে না? হয় হলে সুস্থ বিনোদনের ব্যবস্থা থাকবে আর তা না পারলে সিনেমা হল বন্ধ রাখতে হবে।

কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থী আলি রাজ শেখ বলেন, আমি প্রতিদিন আরমানীটোলা থেকে কলেজে আসা যাওয়া করি। হলের সামনের সামনে দিয়েই আমাকে যাওয়া করতে হয়। যত সম্ভব পারি পোস্টারগুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি৷ কিন্তু এভাবে কতদিন পারা যায়। প্রশাসন থেকেও কোন ব্যবস্থা নেয় না। একের পর এক পোস্টার আসে আর যায়। কখনো অশ্লীল পোস্টার ছাড়া রুচিসম্মত পোস্টার দেখেছি বলে মনে হয় না৷

এই বিষয়ে আজাদ সিনেমা হলের ম্যানেজার পরিতোষ রায় বলেন, এই পোস্টারগুলা সিনেমার ডিস্টিবিউটরদের করা। আমরা পোস্টারিং করি না। তারা যদি এই ধরনের পোস্টার প্রদান করে তাহলে আমাদের কি করার আছে। আমরা না করেছি এই ধরণের পোস্টার দেওয়ার জন্য।

তিনি আরো বলেন, আমাদের অবকাঠামোগত সমস্যা থাকার কারণে আমরা ভালো সিনেমাগুলা পাই না। আমরা পুরাতন সিনেমাগুলো মোডিফাই করে এখানে প্রদর্শন করি। আর আমাদের এখানে রুচিসম্মত সিনেমার দর্শকও আসে না। তাবে আমরা সিনেমার ডিস্টিবিউটরদের সাথে কথা বলে এই পোস্টার পরিবর্তনের বিষয়টা জানাবো।


সর্বশেষ সংবাদ