ফেব্রুয়ারিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে ক্লাস হবে যেভাবে

প্রতীকী
প্রতীকী

করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ রয়েছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ফেব্রুয়ারিতে খুলে দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে শুরুতে সব প্রতিষ্ঠান খুললেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের আংশিক উপস্থিতিতে ক্লাস নেয়া হবে।

মাউশি সূত্র জানায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেও ফেব্রুয়ারি থেকে সব শিক্ষার্থীর ক্লাস শুরু হবে না। এ ক্ষেত্রে চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের সিলেবাস শেষ করতে ক্লাস শুরু করা হবে। ধাপে ধাপে অন্যান্য শ্রেণির ক্লাস শুরু করা হবে। বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও মানবিক বিভাগ থেকে প্রতিদিন একটি বিভাগের শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়া হবে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক গণমাধ্যমকে বলেন, ফেব্রুয়ারিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে মন্ত্রণালয় থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত আমাদের জানানো হবে।

তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মতি দেওয়ার পর শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এ বিষয়ে নির্দেশনা দেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল-কলেজে পাঠদান কার্যক্রম করতে নির্দেশনা দেওয়া হবে।

প্রতিষ্ঠান খুললেও অব্যাহত থাকবে অনলাইন পাঠদান। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিঅধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেছেন, করোনা পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠান খুলে দিলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস পরিচালনা করা হবে। এছাড়া করোনাকালীন ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে নতুন পরিকল্পনা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে স্বাস্থবিধি মেইনটেইনের পাশাপাশি যথাসময়ে সবকিছু শেষ করা যায় কি না সেটাও ভাবা হচ্ছে। এক্ষেত্রে অনলাইন পাঠদান কর্মসূচিও অব্যাহত থাকবে।

জানা যায়, বাংলাদেশে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ক্রমান্বয়ে চালু করার সুবিধার্থে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, স্থাপনা ও পেশার জন্য কারিগরি নির্দেশনা শীর্ষক একটি গাইডলাইন করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সেটি অনুযায়ী বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

গাইডলাইনে বলা হয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার আগে মহামারি প্রতিরোধক মাস্ক, জীবাণুনাশক এবং নন-কন্ট্যাক্ট থার্মোমিটার সংগ্রহ করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রবেশপথে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বহিরাগত শিক্ষাদানকর্মীদের শরীরের তাপমাত্রা নিতে হবে। যাদের শরীরের তাপমাত্রা বেশি পাওয়া যাবে তাদের প্রবেশ নিষেধ করতে হবে।

এদিকে দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এর আগে করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি কয়েক ধাপে বাড়িয়ে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত করা হয়েছিল। সেটি আরও এক দফা বাড়িয়ে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত করা হয়েছে। তবে এ ছুটি নতুন করে আর বাড়ানো নাও হতে পারে বলে জানা গেছে।


সর্বশেষ সংবাদ