দেশের চলচ্চিত্র বিশ্ববাজারে বিশেষ স্থান করে নেবে: তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ  © ফাইল ফটো

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর হাতে প্রতিষ্ঠিত এ দেশের চলচ্চিত্র শিল্পে নতুন প্রাণ সঞ্চার করছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর নেতৃত্বে আমরা ২০৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে যেমন স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছে দেব, তেমনি বঙ্গবন্ধুর হাতে যাত্রা শুরু হওয়া আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পও বিশ্ববাজারে একটি বিশেষ স্থান করে নেবে।

তথ্যমন্ত্রী আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৯ প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়াল মাধ্যমে গণভবন থেকে সংযুক্ত হয়ে বক্তব্যদানের জন্য তিনি এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং তথ্যসচিব খাজা মিয়া স্বাগত বক্তা হিসেবে অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

চলচ্চিত্র যেমন জীবনের কথা বলে, তেমনি সমসাময়িক কালকে সংরক্ষণ করে এবং সমাজকে ফুটিয়ে তোলে উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন প্রাদেশিক সরকারের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী, তখন ১৯৫৭ সালে ৩ এপ্রিল তিনি তাঁর দূরদর্শিতায় চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন প্রতিষ্ঠার বিল এনেছিলেন, যার ফলে বাংলাদেশে চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন প্রতিষ্ঠিত হয়।

সেসময়ের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তখন হিন্দি-উর্দু এবং ভারতীয় বাংলা সিনেমা বাংলাদেশের বাজার দখল করেছিল। বঙ্গবন্ধু এই চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বাংলাদেশে চলচ্চিত্র শিল্পের যাত্রা ও অগ্রগতি শুরু। সেই থেকে বহু কালজয়ী ছবি আমাদের দেশে নির্মিত হয়েছে, বহু কালজয়ী শিল্পীর জন্ম হয়েছে এবং আমাদের চলচ্চিত্র বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন থেকে স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশ গঠনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে যে চলচ্চিত্রের যাত্রা শুরু, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা শুধু এই চলচ্চিত্র শিল্পের স্বর্ণালি দিন ফিরিয়ে আনাই নয় বরং আমাদের চলচ্চিত্র যাতে বিশ্ববাজারেও স্থান দখল করে নিতে পারে, সেই লক্ষ্যে অনেকপদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন বলে উল্লেখ করেন তথ্যমন্ত্রী।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এক হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠিত হতে যাচ্ছে, যা থেকে স্বল্প সুদে ঋণ নিয়ে বন্ধ সিনেমা হল চালু করা, চালু হলের আধুনিকায়ন করা যাবে এবং নতুন সিনেমা হল নির্মাণ করা যাবে এবং এর ফলে দেশে চলচ্চিত্র শিল্প একটি নতুন মাত্রায় উন্নীত হবে।

এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী প্রতি জেলায় যে তথ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন করেছেন, সেই কমপ্লেক্সগুলোতে সিনেপ্লেক্সও নির্মিত হবে এবং চলচ্চিত্র শিল্পীদের বহুদিনের দাবিকৃত চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টও সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী গঠন করে দিয়েছেন, যা থেকে চলচ্চিত্র শিল্পের সঙ্গে যারা যুক্ত তারা প্রয়োজনে সহায়তা পাবেন।