০৭ জানুয়ারি ২০২১, ১২:৪৯

সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ কোটা পুনর্বহালের দাবি

লোগো

সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সচেতন মুক্তিযোদ্ধা ও প্রজন্ম পরিষদ। একইসঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক সম্মানী ভাতা ১২ হাজার থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করারও দাবি জানানো হয়।

বাংলাদেশ সচেতন মুক্তিযোদ্ধা ও প্রজন্ম পরিষদের উদ্যোগে আজ বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধী পরিবারের কোনো সদস্যকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন দেওয়া যাবে না। একইসঙ্গে আওয়ামী লীগের কমিটিতেও স্বাধীনতাবিরোধী পরিবারের সদস্যদের দলীয় পদ দেওয়া যাবে না। বর্তমানে স্বাধীনতাবিরোধী পরিবারের যেসব সদস্য আওয়ামী লীগের কমিটিতে রয়েছেন তাদের অনতিবিলম্বে বহিষ্কার করতে হবে।’

তিনি বলেন, আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক সম্মানী ভাতা ২০ হাজার টাকা করার জন্য দাবি জানাচ্ছি। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সিদ্ধান্তের পরও ২০ হাজার টাকা করে সম্মানী দেওয়া হচ্ছে না। অবিলম্বে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক সম্মানী ভাতা ২০ হাজার টাকা বাস্তবায়ন করতে হবে।

জয়নাল আবেদীন বলেন, স্বাধীনতার পর সব সরকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। তাই বৃদ্ধ বয়সে যাচাই-বাছাইয়ের নামে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আর যেন হয়রানি করা না হয় এজন্য জোর দাবি জানাই। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সুদ বিহীন ১৫ লাখ টাকা গৃহনির্মাণ ঋণ দিতে হবে।

তিনি বলেন, প্রতি জেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবর সংস্কার ও সংরক্ষণ করতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের জন্য সরকারি চাকরিতে যে ৩০ শতাংশ কোটা চালু করেছিলেন সেই কোটা পুনরায় বহাল করতে হবে।

এদিকে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহবান জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে অবশ্যই কোটা বাতিলের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে হবে। রাজাকারের সন্তানদের দ্বারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করা যাবে না। প্রশাসনে যদি মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের লোক না থাকে, তাহলে সেখানে তারা সেই গান গাইবে, যা পাকিস্তান আমলে গাইত। মুক্তিযোদ্ধা শহীদ পরিবারের মূল্যয়ন প্রধানমন্ত্রী অবশ্যই করবেন।