বাঁচানো যায়নি জোড়া মাথার কন্যাশিশুটি
মাগুরা জেলা সদরে জন্ম নেওয়া জোড়া মাথার সেই কন্যাশিশু মারা গেছে। মাগুরা থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এসে হাসপাতালে ভর্তির আগেই শিশুটির মৃত্যু হয়। বুধবার রাত পৌনে ৯টার দিকে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয় শিশুটিকে।
জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডা. আয়েশা সিদ্দিকী, মাথা জোড়া লাগানো শিশুটিকে আমরা মৃত অবস্থায় পেয়েছি।
শিশুটির বাবা পলাশ মোল্লা জানান, গতকাল মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) বিকেলে মাগুড়া শহরের জাহান প্রাইভেট হাসপাতালে শিশুটির জন্ম হয়। শিশুটির মাথা দু’টি হলেও শরীর একটি।
এর আগে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শিশুটিকে জাহান প্রাইভেট হাসপাতাল থেকে মাগুরা সদর হাসপাতালের শিশু বিভাগে ভর্তি করা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য সেখান থেকে শিশুটিকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলা হয়। বুধবার দুপুরের পর শিশুটিকে নিয়ে মাগুরা থেকে রওনা দেন তারা। রাতে তারা ঢামেক হাসপাতালে পৌঁছালেও শিশুটিকে বাঁচানো যায়নি।
পলাশ বলেন, গর্ভের সন্তানের জটিলতা রয়েছে জেনে স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী দুই সপ্তাহ আগে সোনালীকে (শিশুটির মা) ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে হাসপাতালের গাইনি ও প্রসূতি বিভাগ থেকে ছয় সপ্তাহ পর সোনালীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়।
তিনি বলেন, কিন্তু গতকাল (মঙ্গলবার) আকস্মিকভাবে সোনালীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে সদর হাসপাতাল রোডের জাহান প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে বিকেলে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কন্যাশিশুটির জন্ম হয়।