বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যবিরোধী প্রচারণা খতিয়ে দেখা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ ইস্যুতে নেতিবাচক প্রচারণা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবই মুদ্রণ কাজ তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান ইনডিপেনডেন্ট ইন্সপেকশন সার্ভিসেস বিডির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ। গত ২৭ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে আয়োজিত ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির দৃষ্টি আর্কষণ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘দরপত্র আহ্বান করে প্রতিষ্ঠানটিকে কাজ দেয়া হয়। সেখানে কে কোন রাজনৈতিক মতাদর্শের তা দেখা সম্ভব হয় না। আমরা অভিযোগ পেয়েছি। সেটি খতিয়ে দেখা হবে। প্রমাণ পাওয়া গেলে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বাংলাদেশের সংবিধান, স্বাধীনতা ও কৃষ্টি-সংস্কৃতির বিরুদ্ধে কেউ কোনো অবস্থান নিতে পারেন না।’
গত ২৭ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জনৈক সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত দুই পৃষ্ঠার একটি লিখিত অভিযোগ জমা পড়ে। এতে বলা হয়, আমরা ২০২১ শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক, নিম্ন-মাধ্যমিক, ইবতেদায়ি, দাখিল, ভোকেশনাল স্তরের পাঠ্য পুস্তকের মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের কাজপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানে কাজ করি। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) থেকে আমাদের কাজ মনিটরিংয়ের কাজ পায় ইনডিপেনডেন্ট ইন্সপেকশন সার্ভিসেস বিডি। প্রতিষ্ঠানটির মালিক বেলাল, তার ভাই বিপ্লব এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা বিভিন্ন ছাপাখানার মান তদারকি করতে এসে তারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যবিরোধী জিহাদে অংশগ্রহণে নানাভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, পরিদর্শনের সময় এ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা বলেন, ‘দেশ শেষ। ধর্ম-কর্ম আর করতে পারবেন না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে মূর্তি বানাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর মূর্তি! দুই দিন পর বলবে এটার পূজা কর। এখনও সময় আছে, ঈমানি দায়িত্বে আসেন। আমরা সবাই মিলে বঙ্গবন্ধুর মূর্তির (ভাস্কর্য) বিরুদ্ধে জিহাদ শুরু করি।’ এভাবে তারা নানা রকম মন্তব্য করেন।
এ বিষয়ে এনসিটিবি’র কর্মকর্তাদের অবগত করা হলে তারা চুপ থাকার পরামর্শ দেন। এ কারণে গোপনে ওই প্রতিষ্ঠানটি তাদের পক্ষে দলবল ভারি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বই ছাপার কাজের ছাড়পত্র এ প্রতিষ্ঠানের হাতে হওয়ায় তারা প্রতিবাদ করতে পারছেন না বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।