বাংলাদেশ হতে পারতো করোনার প্রথম ওষুধ উৎপাদনকারী: ডা. জাফরুল্লাহ
করোনা প্রতিরোধে বাংলাদেশ পৃথিবীর প্রথম ওষুধ উৎপাদনকারী দেশ হতে পারত বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্ট্রি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। শীতকালে করোনা প্রতিরোধ ও করণীয় এবং শীতবস্ত্র বিতরণে বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান শীর্ষক অনুষ্ঠানে এ আলোচনার আয়োজন করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, বিশ্বের প্রথম আমরা এন্টিবডি কিট আবিষ্কার করেছিলাম। আজকে শেখ মুজিবুর রহমান বেঁচে থাকলে জড়িয়ে ধরে বলতো, জাফরুল্লাহ জবর কাজ করেছো। কিন্তু সরকার আমাদের প্রতিটা পদে পদে কাঁটা বিছিয়েছেন। সরকার আমাদের কন্ডিশন দিল এ কিট আমেরিকা থেকে পরীক্ষা করিয়ে আনতে হবে। এতে আরও তিন কোটি টাকার প্রয়োজন হবে। আজকে যদি এমন নিয়ম থাকত তাহলে বাংলাদেশে ওষুধ নীতি হতো না।
করোনা ভ্যাকসিন উৎপাদনের প্রসঙ্গ তিনি বলেন, সরকার যদি ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে এ কাজে সম্পৃক্ত করতো। কম্পোলসারি লাইসেন্স বলে একটা নিয়ম আছে, এটা সুযোগ নিয়ে আমরা ব্যাপক আকারে ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারতাম। অক্সফোর্ডে পেনিসিলিন আবিষ্কৃত হয়েছিল। কিন্তু তারা কখনোই এটাকে প্যাটেন্ট করেনি। তারা মনে করেছিল জনসাধারণের জন্য পেনিসিলিন উন্মুক্ত থাকবে।
পেনিসিলিন যে পাত্রে আবিষ্কার করা হয়েছিল, তার একটি পাত্র তারা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে দান করেছিল। প্রতীকী অর্থে তারা বলতে চেয়েছিল গণস্বাস্থ্যও যেন এসব কাজে সম্পৃক্ত থাকে।
জাফরুল্লাহ বলেন, দেশীয় গ্লোবের করোনার ভ্যাকসিন এগিয়ে রয়েছে। আমরাও ইচ্ছা করলে ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারি। তাহলে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন তৈরি হতো। দেশের প্রতিটা লোক ভ্যাকসিন পেত।
তিনি আরও বলেন, সাংবাদিক বন্ধুদের বলতে চাই, যতই আপনাদের বিপদ হোক, যেই নির্ভীক সাহসিকতার সাথে আপনারা কাজ করছেন, সেটাকে অব্যাহত রাখেন। সবাই মিলিতভাবে কাজ করলে দেশের দরিদ্রতা অনেক কমবে। সবাই মিলে সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে।