ভোট বর্জনের দেড় ঘণ্টা পর বিএনপির প্রার্থীর মৃত্যু
ভোট বর্জন করে ছাড়লেন নির্বাচনের মাঠ, এর দেড় ঘণ্টা পরেই দুনিয়াও ছাড়লেন তিনি। নির্বাচন চলাকালীন খুলনার চালনা পৌরসভার মেয়র পদে বিএনপি প্রার্থী আবুল খায়ের খানের (৬০) মারা যান।
প্রথম ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন এই নেতা। এর ঠিক দেড় ঘণ্টা পরেই না ফেরার দেশে চলে গেছেন তিনি। করোনায় আক্রান্ত হয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (২৮ ডিসম্বের) বিকাল পৌনে ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
জানা গেছে, দুপুরে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আবুল খায়ের। সাধারণ ভোটারদের ভোট জোরপূর্বক ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের প্রতীকে দিয়ে দেয়া এবং ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সহায়তায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তিনি। এরপর শরীর খারাপ হয়ে আসে তার। ভোট শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগেই খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবুল খায়েরের মৃত্যুর খবর আসে।
সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরুর পর থেকে চালনা পৌরসভার বিভিন্ন কেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ তুলছিল বিএনপি নেতাকর্মীরা।
খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের আইসোলেশনে বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ফরিদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বিএনপির ওই প্রার্থীরা পিতার নাম মৃত আইজ উদ্দিন খান। তিনি চালনা এলাকার বাসিন্দা।
খুমেক হাসপাতালের চিকিৎসক ফরিদ হোসেন জানান, করোনা পজেটিভ হয়ে এখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন আবুল খায়ের খান। গত ২৩ ডিসেম্বর বিকালে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
২০০৪ সালের নভেম্বর মাসে সুন্দরবনসংলগ্ন চালনা পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। ওই সময় বিএনপি নেতা আবুল খায়ের খান পৌর প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
প্রতীক বরাদ্দের দিন থেকেই ধানের শীষের প্রার্থী আবুল খায়ের খান করোনা আক্রান্ত হন। পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল ৮টায় চালনা পৌরসভায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এই পৌরসভায় ভোটার সংখ্যা ১২ হাজার ১০০। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার পাঁচ হাজার ৮৬৩ এবং নারী ভোটার ছয় হাজার ২৩৭ জন।
চালনা পৌরসভায় নয়টি কেন্দ্রে ভোট নেয়া হয়। নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপির বাইরে অন্য প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের সনত কুমার বিশ্বাস ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অচিন্ত্য কুমার মন্ডল। নয়টি সাধারণ ও সংরক্ষিত তিনটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ৩৭ জন।