উপমহাদেশে অনেকেই দাড়ির সঙ্গে ধর্মকে গুলিয়ে ফেলেন
এ উপমহাদেশের মানুষ দাড়ির সঙ্গে ধর্মকে গুলিয়ে ফেলছে বলে মন্তব্য করেছেন আলোচিত লেখক ও গবেষক মহিউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, এ অঞ্চলের মুসলমানরা দাড়িওয়ালা লোক খুব একটা পছন্দ করেন না। অথচ ভারতে চারজন দাড়িওয়ালা পুরুষ প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন।
আজ শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে মহিউদ্দিন আহমদ এসব কথা বলেছেন।
মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, আমার মনে হয়েছে, এ অঞ্চলের মুসলমানরা দাড়িওয়ালা লোক খুব একটা পছন্দ করেন না। ভারতে মুসলমানরা সংখ্যালঘু। চার চারজন দাড়িওয়ালা পুরুষ সে দেশে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন- চন্দ্রশেখর, গুজরাল, মনমোহন সিং এবং মোদি।
মহিউদ্দিন আহমদ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ইতিহাস লিখে পাঠকের কাছে বেশ পরিচিতি পেয়েছেন। ২০১৪ সালে তাঁর প্রকাশিত প্রথম রাজনৈতিক বই ‘জাসদের উত্থান-পতন, অস্থির সময়ের রাজনীতি’ বইটি বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছিল।
রাজনৈতিক দলের ইতিহাস লিখলেও মহিউদ্দিন আহমেদ অর্থনীতির ছাত্র ছিলেন। ১৯৫২ সালের জানুয়ারি মাসে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তাঁর বাবা একজন সরকারী কর্মকর্তা এবং মা ছিলেন স্কুল শিক্ষক। কয়েকটি স্কুলে পড়াশুনার পর তিনি ১৯৬১ সালে ঢাকার গভর্মেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুলে ৫ম শ্রেণিতে ভর্তি হন।
সেখান থেকে এসএসসি পাশ করার পর ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। এরপর ১৯৬৯ সালের শেষের দিকে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে ভর্তি হন। তাঁর আগে তিনি ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে যোগ দেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন সময়ে তিনি প্রথমে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন। পরবর্তীতে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল বা জাসদের জন্মের পর তিনি সে দলটির সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িয়ে যান। কিন্তু ১৯৭৬ সালের পর রাজনীতি থেকে দূরে সরে পেশাগত কাজে মনোযোগ দেন।
দাড়ি নিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাসে মহিউদ্দিন বলেন, ভারতে চারজন দাড়িওয়ালা পুরুষ প্রধানমন্ত্রী হলেও মুসলমানপ্রধান পাকিস্তান এবং বাংলাদেশে আজ অবধি কোনো দাড়িওয়ালা পুরুষ সরকারপ্রধান হতে পারেননি। বিষয়টি নিয়ে ভাবনায় পড়েছি।