ঢাকা সফরের প্রত্যাশায় আছেন নরেন্দ্র মোদি
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আজকের ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলন চলাকালে বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের বৈচিত্র্যপূর্ণ সম্পর্ক পর্যালোচনা করতে পেরে আমি সম্মানিত। আমরা বঙ্গবন্ধুর সম্মানে একটি ডাকটিকিট উন্মোচন করেছি এবং বঙ্গবন্ধু-বাপু জাদুঘর ও চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেল সংযোগ উদ্বোধন করেছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলন নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার এক টুইট বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন। নরেন্দ্র মোদি বলেন, পরের বছর, ভারত ও বাংলাদেশ যৌথভাবে মুজিববর্ষ এবং আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০ বছর উদযাপন করবে। আমি বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শকে শ্রদ্ধা জানাতে ঢাকা সফরের প্রত্যাশায় রয়েছি।
এদিকে সকালে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর এ ভার্চুয়াল বৈঠকের আগে বাণিজ্য, জ্বালানি, কৃষি, পরিবেশসহ বিভিন্ন খাতে পারস্পরিক সহযোগিতার সাতটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে বাংলাদেশ ও ভারত। ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় দুই দেশের মধ্যে এসব সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়।
পরে নরেন্দ্র মোদি ও শেখ হাসিনার মধ্যে ভার্চুয়াল দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এসব চুক্তির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এছাড়া, ৫৫ বছর পর আবারও নীলফামারীর চিলাহাটি সীমান্ত থেকে পশ্চিমঙ্গের হলদিবাড়ি পর্যন্ত রেল যোগাযোগেরও উদ্বোধন করা হয়। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় ওই রেলপথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
অনুষ্ঠানে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সম্মানে ভারতের ডাক বিভাগ প্রকাশিত একটি স্মারক ডাকটিকেট অবমুক্ত করেন এবং ‘বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল এক্সিবিশনে’র উদ্বোধন করেন।
বৈঠকে ‘প্রতিবেশীর অগ্রাধিকার’ নীতিতে তাঁর দেশ ভারত বিশ্বাসী উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ভারত সবসময়ই বাংলাদেশকে অগ্রাধিকার প্রদান করে এসেছে। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক শক্তিশালী করার এই নীতি দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিন থেকেই আমার অগ্রাধিকারে রয়েছে।