বিস্মিত মামুনুল, পাল্টা আইনি ব্যবস্থার হুশিয়ারি
হেফাজতে ইসলামের সাবেক আমির আল্লামা আহমদ শফীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগে করা মামলার প্রতিক্রিয়ায় সংগঠনটির বর্তমান যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক জানিয়েছেন, এ মামলায় তিনি বিস্মিত হয়েছেন। নিজের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে পাল্টা আইনি ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে তিনি জানান, জেনে আমি বিস্মিত হইলাম একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। সেখানে ৩৬ জনের নামে মামলা করা হয়েছে, সেখানে আমার নামটি উল্লেখ করা হয়েছে।
মাওলানা মামুনুল বলেন, অথচ আল্লামা আহমদ শফীর মৃত্যুর পূর্বাকার সকল পরিস্থিতিতে আমি তার কাছাকাছি ছিলাম না। কেন তারা এই ঘটনাটি ঘটাল। আমার নাম সেখানে অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে তাদের আসল উদ্দেশ্যটি এখানে স্পষ্ট হয়ে যায়। তারা আসলে আমাদের ঘায়েল করতে চায়।
পাল্টা ব্যবস্থা নেয়ার হুশিয়া দিয়ে মামুনুল বলেন, এতে আমার মানহানি হয়েছে। এ বিষয়ে আমি আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করে এবং অন্যান্য দায়িত্বশীল এবং ওলামায়ে কেরামদের সঙ্গে পরামর্শক্রমে তাদের আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।
এর আগে হেফাজতে ইসলামের সাবেক আমির আল্লামা আহমদ শফীকে হত্যার অভিযোগে দলটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হকসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এদিন সকালে চট্টগ্রামে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩-এ এ মামলা করেন আল্লামা আহমদ শফীর শ্যালক মাইনুদ্দিন। বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আবু হানিফ বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
চলতি বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর আসগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী। তখন তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল, বেশ কয়েক বছর বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগের পাশাপাশি ডায়বেটিস ও উচ্চ রক্তচাপে ভুগছিলেন তিনি। কিন্তু বৃহস্পতিবার আহমদ শফীর শ্যালক মাওলানা মাইনুদ্দীন বাদী হয়ে ওই মৃত্যুকে পরিকল্পিত হত্যা উল্লেখ করে মামলা করেছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আল্লামা আহমদ শফীকে হত্যার জন্য ১১ অক্টোবর ফটিকছড়িতে বৈঠক করেন মামুনুল হক। এরপর ১৭ অক্টোবর হাটহাজারী মাদ্রাসায় ঢুকে আল্লামা শফীকে চরমভাবে মানসিক নির্যাতন করা হয়। এমনকি অসুস্থ আহমদ শফীকে চিকিৎসার জন্য মাদ্রাসা থেকে বের করে আনার সময় অ্যাম্বুলেন্স আটকে দিয়ে তার মৃত্যু ত্বরান্বিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।