নাসুমের ওপর চড়াও হওয়ায় মুশফিককে বিসিবির শাস্তি
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে সতীর্থ নাসুম আহমেদকে মারতে উদ্যত হওয়ার ঘটনায় শাস্তি পেলেন বেক্সিমকো ঢাকার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। গতকাল সোমবার এলিমিনেটর ম্যাচের ১৩ ও ১৭তম ওভারে মেজাজ হারান মুশফিক। দুবার সতীর্থকে মারতে উদ্যত হন তিনি।
এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কড়া সমালোচনা হয়। এরপর নিজের দোষ স্বীকার করে ক্ষমাও চেয়েছেন মুশফিক। তারপরও শেষ পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হচ্ছে এই অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারকে।
বিসিবির কোড অব কনডাক্ট অনুযায়ী, মুশফিককে ম্যাচ ফি'র ২৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁর নামের পাশে যোগ হয়েছে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট। বিসিবির কোড অব কনডাক্ট (২.৬) অনুযায়ী এটি লেভেল-১ অপরাধ।
বিসিবির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আর্টিকেল ৭.৫ অনুযায়ী চলমান টুর্নামেন্টে মুশফিক যদি চার ডিমেরিট পয়েন্ট পান তাহলে এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হতে পারেন তিনি। তবে সেই সম্ভবনা কম। কারণ এরই মধ্যে টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার পথে।
গতকালের ম্যাচটি পরিচালনা করা দুই আম্পায়ার গাজী সোহেল ও মাহফুজুর রহমান, তৃতীয় আম্পায়ার মাসুদুল রহমান ও চতুর্থ আম্পায়ার মুজাহিদুজ্জামানের রিপোর্টের ভিত্তিতে এই শাস্তি নির্ধারণ করা হয়। শাস্তি ধার্য করেছেন ম্যাচ রেফারি রকিবুল হাসান। মুশফিক শাস্তি মেনে নিয়েছেন।
এদিকে, আজ মঙ্গলবার সকালে নিজের ফেসবুক পেজে নাসুমের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করে ক্ষমা চেয়েছেন মুশফিক। ক্যাপশনে লিখেছেন, ভবিষ্যতে এমন কাজ আর করবেন না তিনি।
সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে মুশফিক লেখেন, ‘গতকালের ম্যাচের ঘটনার জন্য প্রথমত আমি আমার সব ভক্ত ও দর্শকের কাছে ক্ষমা চাই। ম্যাচের পরই আমি সতীর্থ নাসুমের কাছে ক্ষমা চেয়েছি। দ্বিতীয়ত, আমি সৃষ্টিকর্তার কাছেও ক্ষমা প্রার্থনা করছি। সবসময়ই মনে রাখার চেষ্টা করি, আমি সবকিছুর ওপরে একজন মানুষ এবং মাঠে যে আচরণ করেছি সেটা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমি কথা দিচ্ছি, ভবিষ্যতে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি মাঠের ভেতরে বা বাইরে আর হবে না।’
পরে আজ মঙ্গলবার দুপুরে ফেসবুক স্ট্যাটাসে এ ঘটনা নিয়ে বিরূপ মন্তব্য না করার আহ্বান জানান নাসুম আহমেদ।
গতকাল বরিশালের ইনিংসের ১৩তম ওভারে নাসুমের বলে ছক্কা হাঁকান আফিফ। পরের বল মিড উইকেটে মেরে এক রান নিতে ছোটেন আফিফ। সেই সময় রান আটকাতে একসঙ্গে দৌড়ান বোলার নাসুম ও উইকেটকিপার মুশফিক। দুজন একসঙ্গে মুখোমুখি হয়ে যাওয়ায় রানআউট করা যায়নি। তখন মেজাজ হারিয়ে নাসুমের দিকেই বল ছুড়তে উদ্যত হন মুশফিক।
১৭তম ওভারে আরেকবার মেজাজ হারান মুশফিক। শফিকুলের করা অফ স্টাম্পের বাইরের বল উইকেটের কিছুটা পেছনে তালুবন্দি করেন মুশফিক। ওই ক্যাচ ধরতে শর্ট ফাইন লেগ থেকে নাসুমও দৌড়ান। দুজনের প্রায় ধাক্কা লেগে যাওয়ার উপক্রম হয়। সেই মুহূর্তে ক্যাচ ধরতে পারলেও মেজাজ হারান অধিনায়ক। ক্যাচ নেওয়ার পর নাসুমকে মারতে উদ্যত হন মুশফিক। পরে অবশ্য নিজেকে সামলে নেন তিনি।