পদ্মা সেতুর নাম ‘শেখ হাসিনা সেতু’ করা হোক
পুরোপুরি দৃশ্যমান হলো স্বপ্নের পদ্মা সেতু। যুক্ত হলো পদ্মার দুই পাড়। দক্ষিণবঙ্গের প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম যে সেতুর স্বপ্ন দেখেছে। সেই স্বপ্নটি দৃশ্যমান হলো আজ। বৃহস্পতিবার ১২টা ২ মিনিটে ৪১তম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে বাস্তব রূপ পেলো পুরো পদ্মা সেতু। এদিকে সেতুটির নাম ‘শেখ হাসিনা সেতু’ নামকরণের দাবি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন।
এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে খোকন জানান, দেশি বিদেশী সকল ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হলো। বিজয়ী হলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। যুক্ত হলো প্রমত্তা পদ্মার দুই পাড়। বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ আজ নিজস্ব সামর্থ্য প্রমানের আরেকটি ইতিহাস। এই ইতিহাসের নায়ক শেখ হাসিনা।
খোকন লিখেছেন, ১২ ডিসেম্বর ২০১৫ তে পদ্মা সেতু নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম। লাইক পড়েছিল ৬৩ হাজারেরও বেশি। দাবি জানিয়েছিলাম, পদ্মা সেতুর নাম ‘শেখ হাসিনা সেতু’ নামকরণের। এই দাবি আবারো ব্যক্ত করছি। কারণ শেখ হাসিনা স্বপ্ন দেখেন স্বপ্ন দেখান এবং এর বাস্তবায়ন করেন। জয়তু শেখ হাসিনা...।
২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারের ওপর প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্যে দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। সে হিসাবে ৩ বছর ২ মাস ১০ দিনে বসানো হলো সেতুর সবকয়টি স্প্যান।
২০১২ সালের জুন মাসে পদ্মা সেতু প্রকল্পে ঋণ বাতিল করে বিশ্বব্যাংক। পরবর্তীতে জুলাইতেই নিজস্ব অর্থায়নে এই সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। নানান শঙ্কা, উৎকণ্ঠা আর ঘটনা পেরিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে শুরু হয় স্বপ্নের পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ।
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আবদুল কাদের বলেন, ৪১তম স্প্যান বসানোর মধ্যে দিয়ে সেতুর ৪২টি পিলারের ওপর সবকয়টি স্প্যান বসানো সম্পন্ন হয়েছে। জাজিরা প্রান্তে আগেই ২০টি স্প্যান বসানো হয়। আর মাওয়া প্রান্তে বসানো হয়েছে ১৯টি স্প্যান। ১টি স্প্যান বসানো হয় মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তের মাঝখানে।