মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপটেন আকরাম আর নেই

বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপটেন আকরাম আহমেদ বীর উত্তম
বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপটেন আকরাম আহমেদ বীর উত্তম  © সংগৃহীত

বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপটেন আকরাম আহমেদ, বীর উত্তম আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সোমবার বেলা সোয়া ১১টায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) তিনি মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।

নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ায় তাকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। পরে তার হার্ট অ্যাটাক হয়। মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) জোহরের নামাজ শেষে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী আনুষ্ঠানিকভাবে গার্ড অব অনার দিয়ে সম্মান জানানোর পর তার মরদেহ বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সিনিয়র কনসালট্যান্ট, মহান মুক্তিযুদ্ধকালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ‌‘কিলো ফ্লাইটের’ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপটেন আকরাম আহমেদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। এক শোকবার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন তিনি এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

শোকবার্তায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ক্যাপটেন আকরাম আহমেদের অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তার মৃত্যু আমাদের সকলের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।

আকরাম আহমেদের পৈতৃক বাড়ি চুয়াডাঙ্গার দামুরহুদা উপজেলার গাছঘাট গ্রামে। তার বাবার নাম মেজবাউদ্দীন আহমেদ এবং মায়ের নাম মাফিয়া খাতুন।

১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তান উদ্ভিদ রক্ষা (প্ল্যান্ট প্রটেকশন) বিভাগে কাজ করতেন আকরাম আহমেদ। সেই সময় আকাশ থেকে বনে ওষুধ ছিটিয়ে পোকা দমনের জন্য উদ্ভিদ রক্ষা বিভাগের নিজস্ব বিমান (ক্রপ ডাস্টার) ছিল। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে মে মাসে ঢাকা থেকে পালিয়ে তিনি ভারতে যান। মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর বিমান উইং গঠন করা হলে তাতে অংশ নেন আকরাম আহমেদ।

তিনি চট্টগ্রাম ও সিলেটের নানা স্থানে ১২টির মতো আক্রমণে অংশ নেন। ১৯৭১ সালের ২ ডিসেম্বর মধ্যরাতে চট্টগ্রামের তেলের ডিপোতে বিমান হামলা চালিয়েছিল মুক্তিবাহিনীর বিমান উইং, তখন সেই বিমানের পাইলট ছিলেন আকরাম আহমেদ। একাত্তর সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে শত্রু সেনা নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে ক্ষতিসাধনে ব্যাপক অবদান রেখেছিলেন যে ৯ জন, আকরাম আহমেদ তাদের মধ্যে অন্যতম।


সর্বশেষ সংবাদ