বাংলাদেশ আমার দ্বিতীয় বাড়ি: ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদশের সঙ্গে ভুটানের ঐতিহাসিক সুসম্পর্কের কথা উল্লেখ করে দেশটির প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং বলেছেন, বাংলাদেশ আমার দ্বিতীয় বাড়ি। নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ সব সময়ই ভুটানের পাশে থেকেছে। আজ রবিবার (৬ ডিসেম্বর) ভুটান-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) সই এবং দুই দেশের সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে এবং ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং সে দেশের রাজধানী থিম্পু থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। রাজধানীর বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে মূল অনুষ্ঠানের অন্য প্রান্তে ভুটানও সংযুক্ত ছিল।
এসময় ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং বাংলাদেশের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে সাত বছর এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময় ঢাকায় তিন বছর কাটানোর কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ সব সময় আমার মনের মধ্যে আছে।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব এবং বাংলাদেশ সরকারের পদক্ষেপের প্রশংসা করে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ কোভিড-১৯ মহামারি থেকে চমৎকারভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ আপনাকে (শেখ হাসিনা) চিরকাল স্মরণ করবে। আপনি, আপনার পরিবার এবং আরও অনেকে দেশের জন্য যে অবদান ও ত্যাগ স্বীকার করেছেন তার কথা আমরা সবাই জানি।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ-ভুটান সম্পর্কের ঐতিহাসিক দিনটি উপলক্ষে উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একযোগে একটি লোগো উন্মোচন করেন এবং পৃথক কেক কাটেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এখন সময় এসেছে আমরা পারস্পরিক সুবিধার জন্য এবং উভয় দেশের নাগরিকদের সামগ্রিক উন্নতি ও কল্যাণের জন্য আমাদের অসাধারণ সম্পর্ককে আরও বেশি অর্থবহ করে তুলি। এ চেতনায় আমরা আজ ভুটানের সঙ্গে পিটিএতে স্বাক্ষর করেছি। এ চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ এবং ভুটান থেকে বিস্তৃত পণ্য একে অপরের বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এ চুক্তির ফলে ভুটান তৈরি পোশাক, প্রক্রিয়াজাত কৃষি পণ্য এবং ইলেকট্রনিকসসহ ১০০টি বিভিন্ন বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানিতে শুল্ক সুবিধা প্রদান করতে সম্মত হয়েছে। অন্যদিকে ফলমূলসহ ৩৪টি ভুটানের পণ্য বাংলাদেশে একই সুবিধা পাবে। পরে আলোচনার মাধ্যমে আরও পণ্য দুই দেশের তালিকায় সংযুক্ত করা হবে। এ চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় পিটিএ এবং এফটিএ স্বাক্ষরের যাত্রা শুরু হবে।