সেই শিশু ভ্যানচালক শম্পার পরিবারের দায়িত্ব নিলেন প্রধানমন্ত্রী

  © ফাইল ফটো

জামালপুরের ভ্যানচালক শিশু শম্পার পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এখন আর সম্পাকে ভ্যান চালিয়ে পরিবারের ভরণপোষণ ও বাবার চিকিৎসার খরচ যোগাতে হবে না। লেখাপড়া করে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার স্বপ্ন দেখছে জীবন সংগ্রামী এই শিশু।

আজ বুধবার(২ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জামালপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) শম্পাদের বাড়ি গিয়ে তার অসুস্থ বাবাকে ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে (পঙ্গু হাসপাতাল) পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।

এ বিষয়ে ডিসি মোহাম্মদ এনামুল হক জানান, মাত্র ১০ বছর বয়সী শম্পা খাতুন জামালপুর সদর উপজেলার নাকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী। নাকাটি গ্রামের শফিকুল ইসলামের দুই মেয়ের মধ্যে ছোট সে। 

শফিকুল আগে থেকে ভ্যান চালাতেন। পাঁচ বছর আগে জামালপুর শহর থেকে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনায় তার এক পা ভেঙে যায়। পরিবারের প্রায় সবকিছু বিক্রি করে প্রায় সাত লাখ টাকা খরচ করে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েও তার পা ভালো হয়নি। এরপর থেকে ঘরে পড়ে আছেন শফিকুল। এ কারণেই অর্থের অভাবে তার পরিবার বিপাকে পড়ে যায়।

এই অবস্থায় বাবার ওষুধের টাকাসহ অভাবের সংসারের হাল ধরতে ছোট্ট শিশু শম্পা দেড় বছর আগে ভ্যান চালানো শুরু করে। এ নিয়ে গত ২৯ নভেম্বর একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নজরে আসে।

পরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গত সোমবার সকালে শম্পাদের বাড়িতে যান জামালপুরের ডিসি মোহাম্মদ এনামুল হক। শম্পার পরিবারের সবকিছু জেনে ওইদিনই তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রতিবেদন পাঠান।

এরপর প্রধামন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশে আজ বুধবার সকালে তিনি আবারও শম্পার বাড়ি গিয়ে তার বাবা শফিকুলকে ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।

ডিসি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ঢাকায় শফিকুলের চিকিৎসা হবে। শম্পার লেখাপড়াসহ পরিবারটিকে স্বাবলম্বী করতে যা যা প্রয়োজন তাই করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।’

এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এ পরিবারের থাকার জন্য পাকা ঘর তৈরির কাজও শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাংবাদিকদের প্রতি কৃজ্ঞতা প্রকাশ করে শিশু শম্পা বলে, ‘আমি আর ভ্যান চালাব না। এখন আমি লেখাপড়া করব।’


সর্বশেষ সংবাদ