৯৯৯-এ মিথ্যা তথ্য দিলে শাস্তি

প্রতীকী
প্রতীকী

জাতীয় জরুরি সেবার হটলাইন ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে মিথ্যা, বানোয়াট এবং বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিলে সেটিকে অপরাধ বলে গণ্য করে দণ্ডবিধি অনুযায়ী সাজা দেবে সরকার। জাতীয় জরুরি সেবা পরিচালনায় একটি আলাদা ইউনিট গঠন করে কমপক্ষে ডিআইজি পদমর্যাদার একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে সেখানে দায়িত্ব দেওয়া হবে।

এমন বিধান রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ সোমবার (৩০ নভেম্বর) ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে জাতীয় জরুরি সেবা নীতিমালা ২০২০ এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ, জননিরাপত্তা, জনশৃঙ্খলা, অপরাধ দমন, জনগণের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধানে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে।

তিনি বলেন, জনজীবনের সফলতা ও সম্ভাবনার বিষয়ে আলোচনা করে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ সংক্রান্ত এই নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।

নীতিমালার আলোকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা বিভাগে একটি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নামে একটি ইউনিট গঠিত হবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কমপক্ষে ডিআইজি পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তাকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করা হবে।

এক প্রশ্নে তিনি বলেন, মিথ্যা, বানোয়াট, গুজব ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য যদি দেয় তবে সেটাও দেখা হবে, দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে অভিহিত হবে। তবে অনিচ্ছাকৃত বা শিশুরা ভুলে কোনো ভুল তথ্য দিলে তাদের যেন শাস্তির মুখে পড়তে না হয় তা বিবেচনায় নেওয়া হবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

তিনি বলেন, বাচ্চা ছেলে বা কেউ যদি না বুঝে করে দ্যাট উইল বি কনসিডারড। তবে যদি চিট করতে চায়, ইচ্ছা করে যদি কেউ কিছু করতে চায় দ্যাট উইল বি পানিশ্যাবল। সেজন্য রেসপেক্টিভ আইন প্রযোজ্য হবে। মিথ্যা তথ্য দেওয়ার শাস্তি পেনাল কোডে আছে।


সর্বশেষ সংবাদ