শিক্ষিতদের মধ্যে ডিভোর্সের প্রবণতা বেশি: হাইকোর্ট

  © ফাইল ফটো

ফেনীতে কারাফটকে বিয়ে করা ধর্ষণ মামলার সেই আসামি জামিন পেয়েছেন। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার তাঁকে এক বছরের জন্য জামিন দিয়েছেন।

শুনানিকালে পরিবার ও সমাজের বিভিন্ন অসঙ্গতি নিয়ে কথা বলেছেন আদালত। আদালত বলেছেন, আমাদের দেশে অনেকাংশে ডিভোর্সের সংখ্যা বেড়ে গেছে। তবে ডিভোর্সের মধ্যে শিক্ষিত লোকের সংখ্যাই বেশি, সাধারণ মানুষের মধ্যে এই প্রবণতাটা কম।

শুনানির একপর্যায়ে আদালত বলেন, আমরা তো নানাভাবে সমালোচিত হচ্ছি। আসলে ব্যক্তিগতভাবে দুই-একটি পত্রিকার রিপোর্ট দেখে খুব অফেন্ডেড (অপরাধ বোধ) হয়েছি। যেখানে লেখা হয়েছে ‘ধর্ষকের সাথে ধর্ষিতার বিয়ে’ এভাবে তো রিপোর্ট হওয়া উচিত না। আবার নারীবাদী সংগঠনগুলো বলছে এ ধরনের বিয়েতে ধর্ষকরা উৎসাহিত হবে।

‘যে যা-ই সমালোচনা করুক, আমরা এটাকে উৎসাহিত করবো’ এমনটি উল্লেখ করে বিচারক বলেন, ‘প্রযুক্তির কারণে এখন সমাজে মানুষের সম্পর্ক গড়তেও সময় লাগে না, ভাঙতেও সময় লাগে না। দেখবেন আমাদের দেশে ডিভোর্সের সংখ্যা অনেকাংশে বেড়ে গেছে। শিক্ষিত লোকদের মধ্যে বেশি হচ্ছে বরং সাধারণ মানুষের মধ্যে এই প্রবণতাটা কম।’

তথ্যমতে, গত ২৭ মে ফেনীর সোনাগাজীর এক তরুণী এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। ২৯ মে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে সোনাগাজী মডেল থানার পুলিশ।

পরে তাঁর পরিবার তরুণীর পরিবারের সঙ্গে আপস-মীমাংসা করে। আসামি ওই তরুণীকে বিয়ে করবেন- এমন কথা জানিয়ে তাঁর পক্ষে হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করা হয়। আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ১ নভেম্বর আদেশ দেন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ।

হাইকোর্টের আদেশে বলা হয়, আবেদনকারীর আইনজীবী জানিয়েছেন, ভুক্তভোগী ও আসামি বিয়ে করতে সম্মত হয়েছেন। এ অবস্থায় তাঁদের সম্মতিতে ৩০ দিনের মধ্যে বিয়ের আয়োজন করতে ফেনীর জেল সুপারকে নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে।


সর্বশেষ সংবাদ