‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ বাস্তবায়নে ব্যক্তি সচেতনতা জরুরী
রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে করোনার দ্বিতীয় ধাপের আশঙ্কায় বহুমুখী ঋুকি সামলাতে পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের প্রতিটা জেলা উপজেলা ইউনিয়ন ও প্রত্যয়ান্ত অঞ্চলগুলোর সরকারি-বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠান গুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ মাস্ক পরে যাতায়াত করতে বলা হয়েছে।
পাশাপাশি মার্কেট ও অফিসের জন্য ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে। তবে, এই ঘোষণার বেশির ভাগই কাগজে কলমে সীমাবদ্ধ, রাজশাহী জেলার অধিকাংশ বাজার হাট ও ছোট-বড় দোকানের বিক্রেতা-ক্রেতা সরকারের এই নির্দেশনা মেনে চলছেন না।
এদিকে রাজশাহী পুঠিয়া উপজেলার পুঠিয়া বাজার, বানেশ্বর বাজার, ঋলমলিয়া বাজার, দূর্গাপুর উপজেলার দূর্গাপুর বাজার, আমগাছি বাজার, কানপাড়া বাজার, চারঘাট উপজেলার চারঘাট বাজার, সারদা বাজার, হলিদাগাছী বাজার, বাঘা উপজেলার বাঘা বাজার, আড়ানি বাজারসহ জেলার বিভিন্ন জেলা উপজেলা ইউনিয়ন ও প্রত্যয়ান্ত অঞ্চল গুলো ঘুরে দেখা গেছে, ভাগ ক্রেতা মাস্ক না পরেই দোকানে প্রবেশ করছেন। অনেকের মাস্ক পরলেও থুতনির নিচে নামিয়ে রেখেছেন। এই অনিয়ম তদারকি করারও কেউ নেই।
এ বিষয়ে রাজশাহী পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ বলেন, রাজশাহী পুঠিয়া উপজেলার অন্তরগত সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ হাট-বাজার এবং ধর্মীয় উপাসনালয় মসজিদ মন্দির মাদ্রাসা গুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক পরে ধর্মীয় কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এছাড়াও করোনা ভাইরাস মুক্ত পুঠিয়া উপজেলা রাখতে পুঠিয়া উপজেলা পরিষদ, পুঠিয়া উপজেলা প্রশাসন এবং পুঠিয়া উপজেলাধীন সকল ইউনিয়ন পরিষদ গুলোর পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, মহামারী করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সব থেকে জরুরী হচ্ছে ব্যক্তি সচেতনতা আমরা সকলে যদি নিজ নিজ অবস্থান থেকে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সচেতন হই তবেই সম্ভব করোনাভাইরাস মুক্ত পুঠিয়া উপজেলা-সহ সারাদেশ টাকে করোনা মক্ত রাখা।