হেফাজতের সম্মেলন গঠনতন্ত্র পরিপন্থী, নতুন কমিটি প্রত্যাখ্যান

  © সংগৃহীত

আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মঈনুদ্দীন রুহী বলেছেন, আজকের সম্মেলন গঠনতন্ত্র পরিপন্থী। গত কমিটির প্রায় ৫০ জন সদস্য আজকের সম্মেলনে দাওয়াত পাননি। তাই আমরা এ কমিটি মানি না। আজই এ বিষয়ে আমরা করণীয় ঠিক করব। আমরা এটিকে প্রত্যাখ্যান করছি।

সংগঠনটির নতুন কমিটি ঘোষণার পর আজ রবিবার বিকেল ৩টার দিকে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় গত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মঈনুদ্দীন রুহী এমনটি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, হেফাজতের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী গত কমিটির সব সদস্যকে নিয়ে সম্মেলন হতে হবে। কিন্তু আজকের সম্মেলনে অনেককেই ইচ্ছে করেই দূরে রাখা হয়েছে।

এর আগে শনিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামে পৃথক সংবাদ সম্মেলনে কাউন্সিলের ব্যাপারে আপত্তি করেছিলেন হেফাজতের কয়েকজন নায়েবে আমীর ও যুগ্ম মহাসচিব।

হেফাজতের নায়েবে আমীর মুফতি ওয়াক্কাস বলেন, আমি কেন্দ্রীয় কমিটির নায়েবে আমির, ঢাকা মহানগরী কমিটির প্রধান উপদেষ্টা অথচ আমাকে এখন পর্যন্ত কোনো কিছু জানানো হয়নি। একটি বিশেষ মহলের ইন্ধনে এ কাউন্সিল হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।

মুফতি ওয়াক্কাস বলেন , আল্লামা শফীর অবর্তমানে এখন একজন আমীর নিযুক্ত করাই ছিল প্রধান কাজ। কিন্তু তা না করে পুরো কমিটি বিলুপ্ত করা হল। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভাবে একটি বিশেষ মহলের ইন্ধনে এটি করা হয়েছে বলে আমার মনে হয়। যারা চায় না দেশের আলেমরা এক থাকুক।

হেফাজতে ইসলামের পুনর্নির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, দেশের ৬৪ জেলা থেকে প্রতিনিধিরা সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। সম্মেলনে হাজির ছিলেন ৩৭০ জন প্রতিনিধি। সবার পরামর্শে এই কমিটি। আর বাকিদের কমিটিতে না রাখার বিষয়টি তো এমনি এমনি হয়নি। নিশ্চয় কোনো কারণ আছে।

এর আগে এদিন চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসা মিলনায়তনে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর নেতৃত্বে হেফাজতের ইসলামের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর মনোনীত হয়েছেন সংগঠনটির মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী। মহাসচিব মনোনীত হয়েছেন জমিয়ত মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী।


সর্বশেষ সংবাদ