এবার ধর্মীয় মৌলবাদীরা বেশি প্রচারণা চালিয়েছে: ড. আসিফ নজরুল
দেশে ধর্মবিশ্বাসী ও ধর্মবিরোধী এ দুই পক্ষের উগ্রবাদই নিন্দনীয় হলেও সম্প্রতি লালমনিরহাটে ঘটে যাওয়া ঘটনায় বেশি উসকানি দিয়েছে ধর্মবিশ্বাসী মৌলবাদীরা বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।
শুক্রবার(৩০ অক্টোবর) ডয়চে ভেলের ‘খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’ সাপ্তাহিক ইউটিউব টকশোতে এ কথা বলেছেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান। এতে কথায়-কথায় উঠে আসে বাংলাদেশে উগ্রবাদ ও উসকানির প্রসঙ্গও৷
ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘বিচারবহির্ভূত হত্যা, সে যে-ই করুক, এই ধরনের হত্যার বান্ধব পরিস্থিতি দেশে সৃষ্টি হয়েছে৷ দেশে যারা দায়িত্বপূর্ণ পদে আছেন, তারা অকপটে ক্রসফায়ারকে সমর্থন করে, গণপিটুনির কথা বলেন। অন্যায়ের বিচার যে আদালতের বাইরে করা যায়, সেটা মানুষের মনে ঢুকে গেছে।’
এ বিষয়ে ড. মিজানুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার লালমনিরহাটে যে একজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে, এমন ঘটনা দেশে এই প্রথম নয়। এমনটা আগেও ঘটেছে। এবারের বিশেষত্ব হচ্ছে মানুষের মধ্যে করোনাকালীন হতাশা ও ক্ষোভ। সাথে ধর্মীয় উন্মাদনাও যোগ হয়েছে ফ্রান্সের ঘটনার পর।
তিনি আরো বলেন, এক ধরনের ‘রিএনফোর্সমেন্ট হয়ে এই ক্ষোভ এসেছে একটি বিশেষ গোষ্ঠীর মধ্যে৷ এমন ঘটনা বাংলাদেশের জন্য বিচ্ছিন্ন কিছু নয় আর অন্যান্য দেশেও রয়েছে মানুষের গণবিচারের প্রবণতা।’
এমন পরিস্থিতিতে উসকানি কতটা ভূমিকা পালন করে ও কোন পক্ষের দায় এতে বেশির প্রশ্নে ড.আসিফ নজরুল বলেন, ‘বাংলাদেশে ধর্মবিশ্বাসী ও ধর্মবিরোধী, দুই পক্ষেই উগ্রবাদ আছে। দুই পক্ষই উসকানি দেয়। একদিকে ধর্মের মোড়লরা আর অন্যদিকে ধর্মবিরোধী মৌলবাদীরা। দেশে বা বিদেশে বসে তারা উসকানি দিয়ে যাচ্ছে। দু'টিই নিন্দনীয়। তবে এই ঘটনায় ধর্মান্ধরা যে বেশি প্রচারণা চালিয়েছেন, তা নিশ্চিত।’
এতে ড. মিজানুর রহমান আংশিকভাবে একমত হয়ে বলেন, ‘অবশ্যই ধর্মান্ধ ও নাস্তিক, দুইপক্ষে উসকানির নজির আছে। কিন্তু নাস্তিকরা কাউকে আক্রমণ করে মারছে না।
সূত্র: ডয়চে ভেলে বাংলা