৩১ অক্টোবর ২০২০, ০৮:৩৪

পিটিয়ে ও আগুনে পুড়িয়ে হত্যার: বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবি স্বজনদের

নিহত মো. সহীদুন্নবী জুয়েলের স্বজন  © সংগৃহীত

লালমনিরহাটের পাটগ্রামে কোরআন শরীফ অবমাননার অভিযোগ এনে মো. সহীদুন্নবী জুয়েলকে (৫০) পিটিয়ে হত্যা করে মরদেহ আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেছেন তার স্বজনরা। তারা এই ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছেন।

তার স্বজন ওবন্ধুরা জানান, চাকরি হারানোর পর সে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। তার চিকিৎসা চলছিল। তাদের দাবি, সহীদুন্নবী পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে আদায় করতেন। সে কোনোদিনও পবিত্র কোরআন শরীফের অবমাননা করতে পারে না। তারা অভিযোগ করেন, মিথ্যা অভিযোগ তুলে তাকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

নিহত সহীদুন্নবীর বড় বোন হাসনা আখতার লিপি অভিযোগ করেন, ‘মিথ্যা অভিযোগে তার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। আমার ভাইয়ের শরীরের হাড়গুলোও পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। লাশটা পেলেও একটা সান্ত্বনা ছিল। আমরা মনে করি পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এসময় ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবি করেন তিনি।’

উল্লেখ্য, গত ২৯ অক্টোবর রাতে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের সামনে বিক্ষুব্ধ জনতা সহীদুন্নবী জুয়েলকে পিটিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনার পরে তার শরীর আগুনে পুড়িয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা।