বিএনপি ফেসবুকে যত গর্জে, রাজপথে ততটা বর্ষে না: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির আন্দোলনের হাঁকডাক আষাঢ়ের আকাশের মতো, সামাজিক যোগাযেগামাধ্যম ফেসবুক আর গণমাধ্যমে যতটা গর্জে, বাস্তবে রাজপথে ততটা বর্ষে না। সোমবার (২৬ অক্টোবর) নিজের সরকারি বাসভবনে নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে। অথচ এ সময়ে কোনও ইস্যু খুঁজে না পেয়ে তারা নন-ইস্যুকে ইস্যু বানানোর অপচেষ্টা করছে। যাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে রক্তের দাগ আর ষড়যন্ত্রের নকশা তারাই এদেশে গণতন্ত্রের মুখোশ পরা ফেরিওয়ালা। গণতন্ত্র এক টাকার বাইসাইকেল নয়। এটি একটি ভারসাম্যপূর্ণ কাঠামো। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে সরকারের পাশাপাশি বিরোধী দলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ও সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।’
ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘সরকারের পদত্যাগের দাবি জানানোর কোনও প্রয়োজন নেই। সময় এলেই সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে।’ বিএনপি নেতাদের রাজনৈতিক আন্দোলনের ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে জনগণের মন জয় করার পরামর্শ দেন তিনি।
‘জনস্রোতের উত্তাল ঢেউ রাজপথে উঠবে’—বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এই বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব যা বলেন, তা নিজে বিশ্বাস করতে পারেন কি? ঢেউ তারা টেমস নদীর পাড় থেকে গুলশান অফিসে তুলতে পারেন। কিন্তু পদ্মা-মেঘনা-যমুনার পলিবিধৌত মুজিবের বাংলায় নয়।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, “বিএনপি দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই বলে বারবার মিথ্যা ও পুরনো অভিযোগ করে চলছে। বলছে সরকার নাকি ভিন্নমত সহ্য করতে পারে না। এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন। এদেশে আওয়ামী লীগের মাঝেই পরমতসহিষ্ণুতা আছে। আর আছে বলেই বিএনপি অনবরত মিথ্যাচার করতে পারছে। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম তিন মাসে ৫০ জন সাংবাদিক আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন। তখন খোদ গণমাধ্যম রিলেটেড সংগঠন ‘রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স’-এর এক রিপোর্টে তা প্রকাশ হয়েছিল। আসলে বিএনপি নেতারা এখন গণমাধ্যমের প্রতি লোক দেখানো লিপসার্ভিস দিচ্ছে।”