আল্লামা বাবুনগরীকে হেফাজতের আমির করার প্রস্তাব
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরীকে সংগঠনটির আমির করার প্রস্তাব দিয়েছেন চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির সংসদ সদস্য নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী। তিনি বলেছেন, সমগ্র বাংলাদেশ ও সব কওমি মাদ্রাসা আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর পেছনে কাতারবন্দি হয়ে গেছে।
আজ রবিবার বিকালে ফটিকছড়ির নাজিরহাট বড় মাদ্রাসার উদ্ভূত সংকট নিরসনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব বলেন সংসদ সদস্য নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি।
নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী বলেন, আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী জামায়াত-শিবির করেন না। বাবুনগরী জামায়াতের বিরুদ্ধে বই লিখেছেন। তিনি ও তাঁর মামা মাওলানা মহিবুল্লাহ বাবুনগরী জামায়াতের বিদ্বেষী। সরকারের কাছে বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য একটি পক্ষ জুনায়েদ বাবুনগরীকে জামায়াত-শিবির তকমা লাগানোর ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি বলেন, জুনায়েদ বাবুনগরীর নির্দেশনায় আমি এ মাদ্রাসায় এসেছি। তাছাড়া আমি ফটিকছড়ির সাংসদ। এখানে কেউ আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে পারবে না। আমি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছি শনিবার যারা মাদ্রাসায় হামলা করেছে তাদের গ্রেপ্তার করার জন্য।
এর আগে গত শনিবার (২৪ অক্টোবর) ফটিকছড়ির নাজিরহাট বড় মাদ্রাসায় ছাত্রদের দুটি পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় ফটিকছড়ির সাংসদ ও দৌলতপুর বাবুনগর মাদ্রাসার মুহতামিম মাদ্রাসায় এসে শূরার মিটিং দুই দিন এগিয়ে এনে সোমবার (২৬ অক্টোবর) করার ঘোষণা দেন। কিন্তু রবিবার সংবাদ সম্মেলন থেকে সেটি পরিবর্তন করে বুধবার (২৮ অক্টোবর) হওয়ার ঘোষণা দেন।
ছাত্রদের উদ্দেশে দেয়া বক্তব্যে নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী বলেন, আমি আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী এবং আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী সাহেবকে মুরব্বি মেনেছি। তারা যেদিন শূরা বৈঠক বসাবেন আমি প্রশাসনিক নিরাপত্তা দিয়ে তা সম্পন্ন করার সর্বোচ্চ ব্যবস্থা করব ইনশাআল্লাহ।