‘আমাদের নামে নাকি ওয়েস্টিনে আলাদা রুম বরাদ্দ আছে’

হোটেল ওয়েস্টিন ও গোলাম রাব্বানী
হোটেল ওয়েস্টিন ও গোলাম রাব্বানী  © ফাইল ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর ছাত্রীগের পদ থেকে সরে দাড়ানো নিয়ে গুঞ্জন যেন থামছেই না। এক পক্ষ বলছেন, রাব্বানীকে ছাত্রলীগ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। আর অন্যপক্ষ বলছেন তিনি পদত্যাগ করেছেন। যে যাই বলুক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ হারানোর কারণ খুঁজতে গেলে ফিরে আসে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘুষ নেয়ার অভিযোগটি।

যে অভিযোগের কারণে পদ ছাড়তে বাধ্য হন গোলাম রাব্বানী; সেই প্রসঙ্গটি নিয়ে আজ শনিবার (২৪ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি। নিচে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের পাঠকদের জন্য রাব্বানীর স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

ছাত্রলীগের পদ থেকে আমাদের পদত্যাগের প্রেক্ষাপট সৃষ্টিতে মূল অভিযোগ ছিলো, জাবির ভিসি ম্যামের করা চাঁদা দাবীর মিথ্যা অভিযোগ, আর সেটা যে তিনি নিজের মহাদুর্নীতি (প্রায় ৬০ কোটি টাকা) আড়াল করতেই করেছিলেন, সেটা ইতিমধ্যেই তথ্য-প্রমাণসহ দিবালোকের মতো পরিষ্কার।

সেসময় মিডিয়াগুলোতে ফলাও করে প্রচার করা হয়, বিভিন্ন মাধ্যম থেকে আমাদের নামে নাকি আরো অনেক অভিযোগ নেত্রীর কাছে জমা পড়েছে! যদিও আজ অবধি একটা অভিযোগেরও বাস্তব অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি।

আজ দুপুরে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে, সরকারি একটি সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সাথে আলাপকালে, কথা প্রসঙ্গে তিনি জানালেন, একটি মাধ্যম থেকে নেত্রীর কাছে অভিযোগ দেয়া হয়েছিলো, আমাদের নামে নাকি গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলে আলাদা রুম বরাদ্দ আছে! আর এর সাথে প্রাসঙ্গিক কি ধরনের অভিযোগ করা হতে পারে, তা সহজে অনুমেয়!!

অথচ, বাস্তবতা হচ্ছে, ইহজীবনে আমি কোনদিন ওয়েস্টিন হোটেলে যাইনি!

তাহলে বুঝুন, ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রটা ঠিক কোন লেভেলের হয়েছে! কারণটা কি, দেশরত্ন শেখ হাসিনা নিজে পছন্দ করে দায়িত্ব দিয়েছিলেন, তাই অন্য কারো স্বার্থের পাহাড়াদার হিসেবে, মনঃপুত নির্দেশনা পালনে অবহেলা ছিল বলেই??


সর্বশেষ সংবাদ