ধর্ষণবিরোধী সমাবেশে ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলার অভিযোগ
দেশে সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া ধর্ষণের প্রতিবাদে ঢাকা থেকে নোয়াখালী অভিমুখী লংমার্চে ফেনীতে ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলায় ছাত্র ইউনিয়নসহ বাম ছাত্রজোটের ২০ নেতাকমী আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (১৭ অক্টোবর) ফেনীর শান্তি কোম্পানি মোড় এলাকায় লংমার্চকারীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। নয় দফা দাবিতে এই লংমার্চ করা হচ্ছে।
লংমার্চে অংশ নেওয়া বাম ফ্রন্টের সমন্বয়ক আব্দুলাহ আল কাফি রতন বলেন, সকালে আমরা ফেনীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ শুরু করি। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সমাবেশ শেষ আমরা যখন বেগমগঞ্জের উদ্দেশে বাসে উঠতে যাই, তখন ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন বলে তিনি জানান। হামলার সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে থাকলেও তারা নীরব ছিলো।
অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ফেনী জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এন সালাউদ্দিন ফিরোজ। বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘লংমার্চ কর্মসূচি আমরাও সমর্থন করি। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, তারা লংমার্চের নামে বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম হাজারীর ছবি সম্বলিত ফেস্টুনে বিভিন্ন অশালীন ও আপত্তিকর মন্তব্য লেখায় জনসাধারণের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। এতে ছাত্রলীগ অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে ছাত্রলীগ বিক্ষোভ মিছিল করে।’ হামলায় ছাত্রলীগ জড়িত নয় বলেও দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, হামলাকারীদের প্রতিহতের চেষ্টা করেছে পুলিশ। এ ঘটনার পর লংমার্চে অংশকারীদের নোয়াখালীতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, দেশব্যাপী ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে গণজাগরণ তৈরির লক্ষ্যে শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) নোয়াখালীর পথে লংমার্চ শুরু করে ‘ধর্ষণ ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’। আজ শনিবার বিকেলে নোয়াখালী শহরে সমাবেশের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।