১৬ অক্টোবর ২০২০, ২২:৩৩

ক্ষুধার সূচকে বাংলাদেশের ধারাবাহিক উন্নতি

প্রতীকী

অপুষ্টির হার কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে ধারাবাহিক উন্নতি অব্যাহত থাকায় ক্ষুধামুক্তির লড়াইয়ে গত এক বছরে বড় অগ্রগতি হয়েছে বাংলাদেশের। ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট শুক্রবার চলতি বছরের যে ‘বিশ্ব ক্ষুধা সূচক’ প্রকাশ করেছে, তাতে ১০৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান উঠে এসেছে ৭৫তম অবস্থানে।

এর আগে ২০০০ সালে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৩৬, যা ক্ষুধা সূচকে ‘ভীতিকর’ অবস্থাকে নির্দেশ করে। ২০১০ সালে স্কোর কিছুটা কমে হয় ৩০ দশমিক ৩। অর্থাৎ ক্ষুধা সূচকে বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে উন্নতি করে যাচ্ছে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে কোন দেশের জনগণ কতটুকু ক্ষুধার্ত, তা তুলে ধরা হয় এই বিশ্ব ক্ষুধা সূচক বা গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্সে। এই সূচকে শূন্য থেকে ১০০ পয়েন্টের মাপকাঠিতে যাচাই করা হয় কোন দেশ কতটা ক্ষুধাপীড়িত। এই মাপকাঠিতে শূন্য হচ্ছে সবচেয়ে ভালো স্কোর, যার অর্থ সেই দেশটিতে ক্ষুধা নেই। আর ১০০ হচ্ছে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা।

১০-এর কম স্কোর পাওয়ার অর্থ সেই দেশে ক্ষুধার সমস্যা কম। ২০ থেকে ৩৪ দশমিক ৯ স্কোরের অর্থ তীব্র ক্ষুধা, ৩৫ থেকে ৪৯ দশমিক ৯ অর্থ ভীতিকর ক্ষুধা আর ৫০ বা তার বেশি স্কোর বলতে বোঝায় চরমভাবে ভীতিকর ক্ষুধায় পীড়িত দেশকে। ভারত চলতি বছরে ৯৮ নম্বরে রয়েছে। তাদের স্কোর ২৭.২। পাকিস্তান ৮৮ নম্বরে।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার নির্ধারিত সংজ্ঞা অনুযায়ী, একটি শিশুর প্রতিদিনের গ্রহণ করা খাদ্যের পুষ্টিমান গড়ে ১৮০০ কিলোক্যালরির কম হলে বিষয়টিকে ক্ষুধা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

ক্ষুধা সূচক বলছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ১৩ শতাংশ অপুষ্টির শিকার; পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের ৯ দশমিক ৮ শতাংশের উচ্চতার তুলনায় ওজন কম; ওই বয়সী শিশুদের ২৮ শতাংশ শিশুর উচ্চতা বয়সের অনুপাতে কম এবং পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর হার ৩ শতাংশ।