কবর দেয়ার ঠিক আগমুহূর্তে কেঁদে উঠল শিশুটি
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত ঘোষণা করা হয়েছিলো নবজাতকটিকে, দেওয়া হয়েছিলো মৃত্যু সনদও। পরে সেই নবজাতকটিকে আজিমপুর কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে দাফনের খরচ পোষাতে না পেরে শিশুটিকে তার বাবা নিয়ে যান রায়েরবাজার কবরস্থানে। সেখানে ৫০০ টাকা ফি দেওয়ার পর নবজাতকটির জন্য কবর খোঁড়া শুরু হয়।কিন্তু হঠাৎই বাচ্চাটি নড়তে থাকে এবং কান্নার শব্দ শুনতে পাওয়া যায়।
শিশুটির বাবা ইয়াসিন প্যাকেটটি খুলে দেখেন, দিব্যি জীবিত তার সন্তান। প্রথমে তিনি বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। ততক্ষণে আশপাশের লোকজনও জড়ো হয়ে যান। সন্তানকে তিনি আবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।এখন হাসপাতালে নবজাতকের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র বা এনআইসিইউতে আছে। তবে মৃত ঘোষণা করে যে সনদটি দেওয়া হয়েছিল সেটি চিকিৎসকেরা নিয়ে গেছেন বলে জানান ইয়াসিন।
শিশুটি এখন চিকিৎসাধীন আছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক ইউনিটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউতে)। আজ শুক্রবার ঘটে যাওয়া এই ঘটনা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠনের কথা বলেছে মেডিকেল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, নবজাতকটি ভালো আছে। তার চিকিৎসা চলছে। ঘটনাটি তদন্ত করা হবে। কেন এমন হয়েছে সেটি তদন্তে বেরিয়ে আসবে।
নবজাতকটির চাচা সিলন মোল্লা আরটিভি নিউজকে জানান, তাই ভাই ইয়াসিন মোল্লা এবং ভাবী শাহীনুর বেগম তাদের বাচ্চাকে কোলে জড়িয়ে কান্নাকাটি করে চলছেন।
তিনি আরও জানান, তার ভাবী ৬ মাসের অন্তঃসত্বা ছিলেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসককে দেখাতে আসলে ঝুঁকি রয়েছে জানিয়ে রাতেই ডেলিভারি করাতে পরমর্শ দেন। পরে সেই অনুযায়ী আজ ভোর রাতে ডেলিভারি করানো হয়। এক পর্যায়ে নবজাতকটিকে নড়াচড়া করতে না দেখে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।