০৬ অক্টোবর ২০২০, ১৮:২৫

টাকা আমি ব্যবস্থা করে দেব, গবেষণা করেন: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  © ফাইল ফটো

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রত্যাশা অনুযায়ী গবেষণা হয়না জানিয়ে গবেষকদের এ বিষয়ের প্রতি মনোযোগ বাড়ানোর কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনেক সময় গবেষণায় পর্যাপ্ত বরাদ্দ না থাকার কথা বলা হয়ে থাকে; তারই সূত্র ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন টাকা লাগলে আমি ব্যবস্থা করে দিব আপনারা গবেষণা করেন।

মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী এমন দিকনির্দেশনা দেন। পরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

এ সময় সাংবাদিকদের পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা, প্রকাশনা হতে হবে। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) দুঃখ প্রকাশ করেছেন যে, আমরা যতটা আশা করি প্রকাশনা হওয়া উচিত, সেটা পাই না। প্রকাশনা আরও কম হয়। তিনি এ বিষয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। এটা বাড়াতে হবে। টাকার কথা প্রায়ই বলা হয়। এটা যথাযথ নয়। প্রায়ই দেখা যায় টাকা থাকে, টাকা ব্যবহার করা হয় না। টাকা যদি চায়, দেব। এ বিষয়ে একটা জেনারেল অর্ডার আছে।’

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী পরিষ্কার বলেছেন, টাকা আমি ব্যবস্থা করে দেব; গবেষণা করেন, কাজ করেন, প্রকাশনা করেন। বিশ্বের বিভিন্ন বড় বড় জার্নাল আছে, সেসব জায়গায় কেন পাবলিশ হবে না?

একনেক সভায় ‘জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্পের প্রথম সংশোধন অনুমোদন দেয়া হয়। প্রকল্পের মূল খরচ ছিল ৪৯১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। আজ সংশোধনীতে তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৮৪০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।

একনেক সভা শেষে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে তার (প্রধানমন্ত্রীর) মন্তব্য ছিল আমরা বিশ্ববিদ্যালয় বানাবো। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় শহর হয়ে যায় অনেক সময়। হাজার হাজার লাখ লাখ শিক্ষার্থী এক জায়গায় পড়ে। এতে পড়াশোনার মান রক্ষা হয় না এবং পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এটা যেন বিশ্ববিদ্যালয় থাকে।’

‘সংখ্যাটাকে নিয়ে ইতোমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি কাজ করছে। শিক্ষার্থীর সংখ্যা ট্র্যাকিং করা হবে। মাত্রা নির্ধারণ করা হবে। পুনরায় তিনি আজ এ বিষয়টা বলেছেন। যেহেতু জাতীয় কবির নামে বিশ্ববিদ্যালয়, এটাকে আলাদা মর্যাদায় নিয়ে যেতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় যেন বাজার না হয়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয় যেন ঘুরে-ফিরে নগর না হয়।’