০৫ অক্টোবর ২০২০, ১২:৪৭

নোয়াখালীতে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল

ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন লগো

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নারীকে বিবস্ত্র করে বর্বরোচিত নির্যাতন চালানো হয়েছে। এ ঘটনায় এক মাস পার হয়ে গেলেও অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি স্থানীয় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সম্প্রতি নির্যাতনের সেই ভিডিও ভাইরাল হলে বিষয়টি জনগণের নজরে আসে।

আজ সোমবার বেলা ১২ টায় বেগমগঞ্জ চৌরাস্তায় বিক্ষোভ মিছিল বের করে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন। এই সময় সংসদে ধর্ষনের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির আইন প্রনোয়ন করা ও দাবী জানান তারা।

বিক্ষোভে নোয়াখালী জেলা উত্তর শাখার সভাপতি মুহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল বলেন, দেশে বিচারহীনতার কারণে ধর্ষণ মহামারি আকার ধারণ করেছে। ক্ষমতাসীনদের ছত্রছায়ায় বারবার বিচার থেকে রেহাই পেয়ে যায় ধর্ষক, নারী নির্যাতনকারী এবং সন্ত্রাসীরা। যে কারণে ধর্ষণ এবং বর্বোরোচিত নারী নির্যাতন দেশে এখন মেগাসিরিয়ালে রূপ নিয়েছে। এক একটি লোমহর্ষক ঘটনার অবতারণা হওয়ার পরেই চলে আসে আরেক লোমহর্ষক ঘটনা। ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে দোষীদের গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড দিতে হবে।

তিনি আরো বলেন, আমরা মনে করছি বিচার বিভাগে ক্ষমতাসীন সরকারের হস্তক্ষেপ বারবার এমন ঘটনার জন্ম দেয়। সুতরাং দেশের বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ স্বাধীন করতে না পারলে ধর্ষণ ও লোমহর্ষক নারী নির্যাতনের ঘটনা আরো কত অবলোকন করতে হবে তার কোন ইয়ত্তা নেই।

অন্যান্য বক্তারা বলেন, দেশে ইসলামী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা না থাকায় বারবার ধর্ষণ এবং লোমহর্ষক নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। অতএব ধর্ষণ নারী নির্যাতন সহ সকল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে হলে রাষ্ট্রের সকল পর্যায়ে ইসলামী অনুশাসন মেনে চলার বিকল্প নেই।

বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নোয়াখালী জেলার সেক্রেটারী মাওলানা কামাল উদ্দিন, ইসলামী যুব আন্দোলন নোয়াখালী জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ আবদুর রহীম, ইশা ছাত্র আন্দোলন নোয়াখালী জেলা উত্তর শাখার সহ সভাপতি জিএম মাহমুদুল হাসান হামিদী,সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ ইকবাল হোসাইন,প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইয়াসিন আরাফাত,কলেজ সম্পাদক মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান বাবু সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

এর আগে ২ সেপ্টেম্বর রাতে বেগমগঞ্জের একলাশপুর ইউনিয়নের খালপাড় এলাকায় ওই গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন চালায় দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার, বাদল, কালাম ও আবদুর রহিমসহ ৫ তরুণ।

ঘটনার ৩২ দিন পর গতকাল রোববার দুপুরে নির্যাতনের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এ ঘটনায় রোববার রাতেই দুটি মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় এরই মধ্যে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।