বাড়ি বানানোর জায়গা নির্ধারণ করে দেবে সরকার
সরকার দেশের ফসলি জমিতে যত্রতত্র বাড়ি তৈরি ঠেকাতে ল্যান্ড জোনিংয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে করেছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, কোন জায়গায় বাড়ি বানানো যাবে তা সরকার নির্ধারণ করবে। ল্যান্ড জোনিংয়ের কাজ সম্পন্ন হলে গ্রামেও যার যেখানে ইচ্ছা বাড়ি করা যাবে না।
আজ শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগরীর সিআরবি শিরিষ তলায় একটি সামাজিক সংগঠনের আয়োজনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, মাঠের মধ্য জমি কিনে একটি অট্টালিকা নির্মাণ করা হয়, সেটি মনে হয় আমার বুকে পেরেক বেঁধে দিল। এভাবে সবুজ নষ্ট করা হচ্ছে। প্রকৃতি নষ্ট করা হচ্ছে। যত্রতত্র ঘর করে পরিবেশ নষ্ট করা হচ্ছে। প্রতি বছর এক শতাংশ হারে কৃষিজমি কমে যাচ্ছে। কৃষিজমি আছে দুই কোটি একর। প্রতি বছর দুই লাখ একর করে কমে। এভাবে যদি কমতে থাকে, এ শতাব্দীর শেষ নাগাদ বাংলাদেশে আর কৃষিজমি থাকবে না।
হাছান মাহমুদ নিজেকে পরিবেশ বিজ্ঞানের ছাত্র উল্লেখ করে বলেন, আওয়ামী লীগের দীর্ঘ ১০ বছর পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলাম। আমি এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবেশ বিজ্ঞান পড়ানোর চেষ্টা করি এবং সপ্তাহে অন্তত ১টি ক্লাস নেয়ার চেষ্টা করি। সরকার ল্যান্ড জোনিংয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে এবং এটি সম্পন্ন হলে গ্রামেও যার যেখানে ইচ্ছা বাড়ি করা যাবে না।
মন্ত্রী বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য নগর উন্নয়নের ক্ষেত্রে গাছ কাটা ও পাহাড় কাটার বিষয়টা খেয়াল রাখা হয় না। চট্টগ্রাম অপরূপ সৌন্দর্য্যের নগর, কিন্তু চট্টগ্রামে উন্নয়নের নামে নির্বিচারে গাছ কেটে, পাহাড় কেটে সৌন্দর্যহানি ঘটানো হয়েছে। চট্টগ্রামকে শ্রীহীন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নে রাস্তা করতে গিয়ে পাহাড় কেটে সমান করে ফেলা হয়েছে। রাতের অন্ধকারেও পাহাড় কাটা হয়। পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে চেষ্টা করা হয়, কিন্তু অনেক সময় রক্ষা করা যায় না। আবার অনেকক্ষেত্রে শর্ষের মধ্যে ভূত আছে। নগর উন্নয়ন করার ক্ষেত্রে বৃক্ষকর্তন ও পাহাড় না কাটার ওপর গুরুত্বারোপ করেন ড. হাছান।
দূষণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যেদিকে চট্টগ্রাম শহর বৃদ্ধি পাচ্ছে সেখানে নির্বিচারে পাহাড় কাটা হচ্ছে, এটি বন্ধ করতে হবে। অন্যদিকে কর্ণফুলি নদীর দু’পাড়ে অনেক ক্ষেত্রে দখল ও দূষণ করা হচ্ছে। বিভিন্ন সংস্থার নামে সেখানেও দখল করা হচ্ছে। এগুলোর বিরুদ্ধে যদি সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে উঠে তবে এটি করা সম্ভবপর হবে না।