‘আল্লামা শফীর স্বাভাবিকভাবে মৃত্যু হয়েছে'

প্রয়াত আল্লামা শাহ আহমদ শফী
প্রয়াত আল্লামা শাহ আহমদ শফী

প্রখ্যাত হেফাজতে ইসলামের আমির ও চট্টগ্রামের হাটহাজারীর দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার মহাপরিচালক সদ্য প্রয়াত আল্লামা শাহ আহমদ শফীর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে বলা হয়।

সোমবার( ২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হাটহাজারী মাদ্রাসার জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের পাঠানো বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়।

এতে বলা হয়, তার মৃত্যুর জন্য কাউকে দায়ী করা নির্জলা মিথ্যাচার ছাড়া কিছু না। এরপরও নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর হীনস্বার্থ উদ্ধারে আহমদ শফীর লাশ নিয়ে রাজনীতি করা ও কওমি অঙ্গনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা ঠিক হবে না।

এছাড়া বিবৃতিতে বলা হয়, মাদ্রাসার শুরা কমিটির কাছে আহমদ শফী স্বজ্ঞানে এবং স্বেচ্ছায় দায়িত্ব হস্তান্তর করছেন। আহমদ শফীর মৃত্যু স্বাভাবিক হয়েছে। তাঁর মৃত্যুতে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ অত্যন্ত মর্মাহত। মাদ্রাসার ছাত্র আন্দোলনে কোনো শিক্ষক, বাইরের কোনো সংগঠন কিংবা ব্যক্তির উসকানির অভিযোগ নাকচ করা হয়েছে বিবৃতিতে। এছাড়া মাদ্রাসার বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। নিয়মিত ক্লাস চলছে। পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মাদ্রাসার ছাত্র–শিক্ষক সবাই সন্তুষ্ট।

বিবৃতিদাতারা হলেন মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির প্রধান মুফতি আবদুস সালাম, সদস্য শেখ আহমদ এবং মাওলানা ইয়াহিয়া, প্রধান শায়খুল হাদিস এবং শিক্ষাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী, সহকারী শিক্ষাসচিব মাওলানা শুয়াইব, মুফতি জসিম উদ্দিন, শিক্ষক কবির আহমদ, আশরাফ আলী নিজামপুরী, আহমদ দিদার কাসেমী, ফোরকান আহমদ প্রমুখ।

এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে ছাত্রদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মহাপরিচালকের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করে সরে দাঁড়ান আহমদ শফী। একই সঙ্গে তাঁর ছেলে আনাস মাদানীকে মাদ্রাসার শিক্ষকের পদ থেকে অব্যাহতি দেয় শুরা কমিটি। ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ছাত্ররা ছয় দফা দাবিতে মাদ্রাসায় বিক্ষোভ শুরু করেন। ওই সময় তাঁরা আনাসকে অব্যাহতিসহ ছয় দফা দাবি দেন। দাবি মেনে নেওয়ায় ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে তাঁরা আন্দোলনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

এছাড়া ওই দিন রাতে শফীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় তিনি মারা যান।

 

 

 

 


সর্বশেষ সংবাদ