নুরের সাবেক কর্মীই গিয়েছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে
সৌদি আরব প্রবাসীদের বিড়ম্বনার প্রতিকার চেয়ে ৭ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য আন্দোলনকারীদের পক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন মো. নাজমুল করিম রিটু নামে এক ব্যক্তি। এদিকে এ ঘটনায় তাকে নিজের সাবেক কর্মী বলে স্বীকার করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর।
গত মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবর লিখিতভাবে কিছু দাবি তুলে ধরেছেন। সেখানে তিনি নিজের পরিচয় দিয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা মহানগর শাখার সাবেক সমন্বয়ক হিসেবে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রবাসীরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দেশের জন্য রেমিট্যান্স পাঠায়। কিন্তু সমস্যায় পড়লে মিশনগুলো থেকে সাহায্য পাওয়া যায় না। আন্তরিকতার অভাবে নানারকম বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে প্রবাসীরা। এসব সমস্যা থেকে প্রতিকার চেয়ে সাত দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য বিশেষ আবেদন জানানো হয়েছে ওই চিঠিতে।
এছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে পাঠানো ওই চিঠিতে রেমিট্যান্সযোদ্ধাদের পক্ষে স্বাক্ষর করেছেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা মহানগর শাখার সাবেক সমন্বয়ক মো. নাজমুল করিম রিটু। এছাড়াও সংগঠনটির আরো কয়েকজন তার পাশাপাশি স্বাক্ষর করেছেন।
এ ঘটনায় গতকাল সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, ‘যে ছেলেটার কথা বলা হচ্ছে সেই ছেলেটা আগে আমাদের সংগঠনে সক্রিয় ছিল। কিন্তু শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে কিছুদিন আগে তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি, তার ভাই সৌদিপ্রবাসী। টিকিট নিয়ে ঝামেলা হওয়ার কারণে সে সেখানে গিয়েছিল। আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য নয়। এমনকি আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকেও যায়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রবাসীদের সমস্যার কথা ও পরিস্থিতি বিবেচনায় সে নিজে থেকেই সেখানে গেছে। তবে প্রবাসীদের সমস্যা সমাধানে তার যে ভূমিকা সেটি খুবই প্রশংসনীয়। তাকে আমরা ধন্যবাদ জানাই।’
এর আগে বিড়ম্বনার প্রতিকার চেয়ে ৭ দফা দাবি আন্দোলনকারীদের পক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানানো হয়। দাবির প্রথমটি ছিল, প্রায় দুই লাখ সৌদিপ্রবাসীর জন্য ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা; বিমান, সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইনসসহ সব এয়ারলাইনসকে চলাচলের অনুমতি দেওয়া।
দ্বিতীয় দাবি ছিল, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে যাদের ভিসা ও ইকামার মেয়াদ শেষ হচ্ছে তাদের ভিসা ও ইকামার মেয়াদ আরো একবার বাড়াতে সৌদি সরকারকে অনুরোধ জানানো। তৃতীয় দাবি ছিল, রিটার্ন টিকিটে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া যাবে না। সাত কর্মদিবসের মধ্যে ৩৩৮ প্রবাসীর নিঃশর্ত মুক্তি ছিল চতুর্থ দাবি।
পঞ্চম দাবি ছিল, বিদেশে বাংলাদেশের সব মিশনকে ঢেলে সাজানো ও ওয়ান স্টপ সেবা চালু করা। অসহায়, গরিব প্রবাসী বিদেশে মারা গেলে তার মরদেহ দেশে বিনা খরচে আনার ব্যবস্থা করা ছিল ষষ্ঠ দাবি। সপ্তম দাবি হিসেবে ২১ সেপ্টেম্বর ঢাকায় সোনারগাঁও হোটেলে প্রবাসীদের ওপর পুলিশের অমানবিক নির্যাতনের বিচারের কথা বলা হয়েছে।