আমাদের জমি-বাড়ি সবই পৈত্রিক সম্পত্তি: ড্রাইভার মালেকের ভাই

আব্দুল মালেকের ভাই  আব্দুল খালেক
আব্দুল মালেকের ভাই আব্দুল খালেক   © সংগৃহীত

বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার কারণে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিবহন পুলের গাড়িচালক আব্দুল মালেক ওরফে বাদলকে গতকাল রাতে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অনৈতিকভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।

এছাড়াও নিজের পরিবারের সাতজনকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চাকরি দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এই সাতজনের মধ্যে অধিদফতরে অফিস সহকারী হিসেবে চাকরি করছেন তার ভাই আব্দুল খালেক।

এদিকে মালেকের সুপারিশে চাকরির বিষয়ে জানতে চাইলে তার ভাই আব্দুল খালেক বলেন, আমিও ১৯৯৪ সাল থেকে অফিস সহকারী হিসেবে অধিদফতরে আছি। ১৯৯৩ সালে পত্রিকার সার্কুলার দেখে চাকরির আবেদন করেছি। ৯৪ সালে ইন্টারভিউ দিয়ে চাকরি নিয়েছি। আমার চাকরিতে কারো কোনো সহযোগিতা ছিল না। ইন্টারভিউ দিয়ে পাস করে নিয়ম অনুযায়ী যোগদান করেছি’।

তিনি বলেন, মালেকের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘যে বিষয়গুলো আমি পত্রিকায় পড়লাম সেগুলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ভালোভাবে খতিয়ে দেখুক।’

তার ভাই খালেক বলেন, আমার বাবার জীবদ্দশায় আমাদের অনেক জমিজমা দিয়ে গেছেন। আজ থেকে অনেক বছর আগের কথা, তখন পাঁচ হাজার টাকা কাঠা দামে জমি পাওয়া যেত। বাবা আমাকে ও ভাইকে অনেক জমি কিনে দিয়েছেন। আর হাতিরপুলে যেই জমির কথা বলা হয়েছে সেটাও আমার বাবার জমি।

তিনি বলেন, বাবা মারা যাওয়ার আগে এই জমি আমার মা ও ভাই-বোনদের দিয়ে গেছেন। এখন এটা ডেভেলপারকে দিয়ে আমরা ফ্ল্যাট বানাচ্ছি। আর যেই গরুর খামারের কথা এসেছে সেই জমিও আমার বাবার কিনে দিয়ে গেছেন। কিছু জমি বাবা তার পেনশনের টাকায় কিনে দিয়ে গেছেন। আমার বাবা ২০০৫ সালে মারা গেছেন, তিনি জীবিত থাকলে জমি-জমার বিষয়ে আরও ভালো বলতে পারত।

জানা গেছে, মালেকের বিরুদ্ধে রাজধানীর তুরাগে তার সাততলার দুটি বিলাসবহুল বাড়িতে ২৪টি ফ্ল্যাট, ১২ কাঠার আরেকটি প্লট ছাড়াও হাতিরপুলে নির্মাণাধীন ১০তলা ভবনের মালিকও হওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

 


সর্বশেষ সংবাদ