প্রধানমন্ত্রীর অনুদানের টাকা কেটে রাখলেন প্রধান শিক্ষক
দেশে চলমান করোনা পরিস্থিতির কারণে নন এমপিও শিক্ষকদের ৫ হাজার টাকা করে অনুদান দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে প্রধানমন্ত্রীর এই অনুদানের টাকা শিক্ষকদের বেতন থেকে কেটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে টাঙ্গাইল পুলিশ লাইন্স আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাদেরের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা ৪৯ জন। এর মধ্যে নন-এমপিও হিসেবে রয়েছেন ১৯ জন শিক্ষক ও ১১ জন কর্মচারী। করোনাকালীন সময়ে শিক্ষকদের জন্য ৫ হাজার টাকা আর কর্মচারীদের জন্য আড়াই হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেন প্রধানমন্ত্রী। সে হিসেবে প্রাপ্ত অনুদানের পরিমাণ এক লাখ ২২ হাজার ৫০০ টাকা। চলতি বছরের ১২ জুলাই জনতা ব্যাংক আশেকপুর শাখা টাঙ্গাইল থেকে অনুদানের ওই চেক নেন তারা। তবে বিদ্যালয়ের জুলাই মাসে পাওয়া জুনের বেতন থেকে সেই অনুদানের টাকা আবার কেটে নেয়া হয়।
বিদ্যালয়টির একাধিক নন-এমপিও শিক্ষক জানান, গত ১৯ জুলাই তারা জুন মাসের বেতন তুলতে গিয়ে জানতে পারেন প্রধানমন্ত্রীর দেয়া অনুদানের পাঁচ হাজার টাকা মাসিক বেতন থেকে কেটে নেয়া হয়েছে। করোনাকালীন ক্ষতিগ্রস্ত নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য দেয়া প্রধানমন্ত্রীর অনুদান যদিও প্রণোদনা বা ঋণ ছিল না। এরপরও তা কেটে রাখায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।
বেতন থেকে টাকা কেটে নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন টাঙ্গাইল পুলিশ লাইন্স আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আব্দুল কাদের। তিনি বলেন, করোনাকালীন বেতন পাচ্ছেন না এমন নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের অনুদান দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমাদের সব নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারী বিদ্যালয় থেকে নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন। এজন্য বেতন থেকে তাদের অনুদানের টাকা কেটে রাখা হয়েছে।
নিয়মিত বেতন পাওয়া সত্ত্বেও নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের তালিকা কেন পাঠানো হয়েছিল এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোনো কারণ না জানিয়ে বোর্ড থেকে নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের তালিকা চাওয়া হয়েছিল বলে তালিকা পাঠানো হয়। এছাড়া নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে কেটে রাখা অনুদানের টাকা বিদ্যালয় ফান্ডে জমা রাখা হয়েছে।