নতুন শিক্ষাবর্ষ অনলাইনে চান ৭৫ শতাংশ মানুষ

প্রতীকী
প্রতীকী

বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় মেসেজিং অ্যাপ রাকুতেন ভাইবার নতুন শিক্ষাবর্ষের ক্লাস শুরু নিয়ে তাদের বৈশ্বিক জরিপের ফলাফল প্রকাশ করেছে। এ জরিপে আনুমানিক ১ লাখ ৮৫ হাজার মানুষ অংশ নেন। বিশ্বের ২৪টি দেশে পরিচালিত এ জরিপে অংশগ্রহণকারীরা জানিয়েছেন, নতুন শিক্ষাবছরে শিক্ষা কার্যক্রম দূরবর্তী পদ্ধতিতে পরিচালিত হওয়া উচিৎ।

এদিকে করোনাভাইরাসের তাণ্ডবের মধ্যেই কয়েক মাস পেরিয়ে গেছে। এরমধ্যেই বিশ্বব্যাপী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষাবর্ষের সাথে এগিয়ে যাওয়ার বিষয়ে ভেবে দেখছে। বিশ্বের অনেক দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা সরাসরি স্কুলে উপস্থিত হবে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে। অনেকে দূরবর্তী পদ্ধতিতে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত করবেন।

ভাইবারের জরিপ অনুযায়ী, বৈশ্বিক উত্তরদাতাদের মধ্যে ৭৫ শতাংশ মনে করেন নতুন শিক্ষাবছরে শিক্ষা কার্যক্রম দূরবর্তী পদ্ধতিতে পরিচালিত হওয়া উচিৎ।

অন্যদিকে, বাংলাদেশের ৬৫ শতাংশ ব্যবহারকারী অনলাইন ও সরাসরি শ্রেণিক্ষে উপস্থিতি- এ দু’য়ের সমন্বয়ে একটি হাইব্রিড মডেল চান। শিক্ষার উন্নয়নের জন্য সকল মডেলের ক্ষেত্রেই নতুন পদ্ধতির প্রয়োজন হবে, যা যথাসম্ভব স্বাভাবিকতা বজায় রেখে পরিচালিত হবে এবং শিক্ষার্থীরা যেনো তাদের প্রয়োজনীয় উপকরণ ব্যবহার করতে পারে সেটিও নিশ্চিত করবে।

জরিপে অংশ নেয়া বাংলাদেশি উত্তরদাতাদের মধ্যে গড়ে ৬৯ শতাংশ জানিয়েছেন, তারা শিক্ষামূলক কার্যক্রমের উদ্দেশ্যে প্রধান টুল হিসেবে মোবাইল/ট্যাবলেটে ভাইবার ব্যবহার করেন। অন্যদিকে, ফিলিপাইন, মিয়ানমার ও শ্রীলঙ্কায় এ হার কিছুটা কম। তাদের ক্রম প্রায়- ৩৬ শতাংশ, ২৯ শতাংশ এবং ৪৯ শতাংশ।

জরিপে অংশ নেয়া অধিকাংশ উত্তরদাতা বলেন, সামনের স্কুলের দিনগুলোতে শিক্ষক, শিক্ষার্থীর পাশাপাশি অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগের জন্য তারা ভাইবার ব্যবহার করবেন। ভাইবারের বহুমুখী ব্যবহার এটিকে অনলাইন ও অফলাইনে সমানভাবে শিক্ষামূলক কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য সহায়ক টুল হিসেবে বেশ কার্যকরী করে তুলেছে।

রাকুতেন ভাইবারের প্রধান নির্বাহী জামেল আগাওয়া বলেন, বছর খানেক আগে মনে করা হতো ভবিষ্যতের শিক্ষা কার্যক্রম আগামী দশ বছর কিংবা তারও অধিক সময়ের মধ্যে শতভাগ দূরবর্তী স্থান থেকে পরিচালিত হবে। কিন্তু, বৈশ্বিক মহামারির প্রকোপে রাতারাতিই শিক্ষার্থীরা দূরবর্তী স্থান থেকে শিক্ষা কার্যক্রমে যুক্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, একজন অভিভাবক হিসেবে আমি সবসময় আমার বাচ্চাদের সাথে যোগাযোগের জন্য ভাইবার ব্যবহার করেছি। গত কয়েক মাস ধরে, আমরা দেখেছি অনেক অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা অনলাইন কিংবা সরাসরি শিক্ষা বিষয়ক কার্যক্রম পরিচালনায় যোগাযোগের ক্ষেত্রে ভাইবার ব্যবহার করেছে।


সর্বশেষ সংবাদ