মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করার ক্ষমতা কাউকে দেয়া হয়নি
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম বলেছেন, ‘‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করার ক্ষমতা কাউকে দেয়া হয়নি। মত প্রকাশের অধিকার সর্বজনীন অধিকার। তবে মত প্রকাশের স্বাধীনতার অর্থ এই নয় যে, অন্যকে আঘাত করা যাবে। এক্ষেত্রে প্রত্যেক নাগরিকের কাছে দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশিত।’’
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন আর্টিকেল নাইনটিনের যৌথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম এই মন্তব্য করেন। প্রতিষ্ঠান দুটির মধ্যে সম্পাদিত সমঝোতা চুক্তির অংশ হিসেবে রবিবার এই ভার্চুয়াল সভার আয়োজন করা হয়।
নাছিমা বেগম দেশে মানবাধিকারের সুরক্ষা ও প্রসারে সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, মানবাধিকারের বিষয়টি ব্যাপক ও বিস্তৃত। যিনি দুর্নীতি করেন বা তথ্য গোপন করেন তিনি অন্যের অধিকার লঙ্ঘন করেই সেটি করেন। তাই জাতীয় মানবাধিকার কমিশন থেকে তথ্য কমিশন ও দুর্নীতি দমন কমিশনের সাথে সমন্বিতভাবে কাজ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলোও সহযোগীর ভূমিকা পালন করতে পারে।
দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সম্পাদিত সমঝোতা চুক্তির আওতায় আজ ভার্চুয়াল সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। আর্টিকেল নাইনটিন দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ফারুখ ফয়সলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক।
কাজী রিয়াজুল হক বলেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা একটি মৌলিক অধিকার। এ অধিকারের সুরক্ষা দেওয়া সাংবিধানিক দায়িত্ব। তাই সাংবাদিকসহ যারা এই অধিকারের চর্চা করেন তাদের সুরক্ষা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি গণমাধ্যম যাতে স্বাধীনভাবে নিজের কাজ করতে পারে সেই পরিবেশ তৈরি করে দিতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে ফারুখ ফয়সল বলেন, একটি মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যম ব্যবস্থার সঙ্গে সংবাদকর্মীদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা ও নিরাপত্তার বিষয়টি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। দক্ষিণ এশিয়ায় গণমাধ্যমকর্মীদের নিরাপত্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা চর্চায় বাংলাদেশ পিছিয়ে। এই পরিস্থিতি বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের অগ্রগতিকে ম্লান করেছে।
তিন বলেন, এসডিজির ১৬ নম্বর অভীষ্টে সুশাসন তথা শান্তি, ন্যায়বিচার, শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান ও অন্তর্ভূক্তিমূলক সমাজ প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে। এ লক্ষ্যটি অর্জনে সামগ্রিকভাবে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা জরুরী।