নামাজ চলাকালে মসজিদে এসি বিস্ফোরণ, বহু মুসল্লি দগ্ধ

  © সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুর তল্লা এলাকায় একটি মসজিদে এসি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৪০ মুসল্লি গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানা গেছে। 

আজ শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে এশার নামাজ চলাকালে শহরের তল্লা বাইতুস সালাম মসজিদে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। আহতদের শহরের ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল ও ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।

ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন জানান, রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত মোট ৩৭ জনকে নিয়ে এসে ভর্তি করা হয়েছে; তাদের সবার অবস্থাই ‘আশঙ্কাজনক’। বাইতুস সালাত জামে মসজিদের ইমাম আবদুল মালেক (৬০) এবং মুয়াজ্জিন দেলোয়ার হোসেনও (৫০) আছেন ওই ৩৭ জনের মধ্যে।

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আরেফিন জানান, মসজিদের এসি বিস্ফোরণে অনেকে দগ্ধ হয়েছেন। ফায়ার সার্ভিস কাজ করছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, মসজিদে এশার নামাজের পর মোনাজাত চলাকালে বিকট শব্দে এসির বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় মসজিদে প্রায় ৪০-৫০ মুসল্লি ছিলেন। বিস্ফোরণের পর হুড়োহুড়ি করে বের হওয়ার সময় অনেককেই বস্ত্রহীন এবং শরীর ঝলছে যাওয়া অবস্থায় দেখা গেছে।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন জানান, এশার নামাজের শেষ সময় এয়ারকন্ডিশনের গ্যাসের লিকেজ হয়ে এ বিস্ফোরণ ঘটে।

তিনি জানান, মসজিদের ফ্লোরের নিচ দিয়ে এয়ারকন্ডিশনের পাইপের সংযোগ ছিল। পাইপ লিক করে বুদবুদ আকারে গ্যাস বের হচ্ছিল। দরজা জানালা বন্ধ থাকায় কেউ হয়তো ইলেকট্রিক লাইনের কোনো সুইচ চালু করতে গিয়ে বিদ্যুৎ স্পার্ক হয়ে বিস্ফোরণটি ঘটে। এ ঘটনায় অর্ধশতাধিক আহত হয় বলে জানান তিনি।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের গাড়িতে ছয়জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। এছাড়া স্থানীয়রা বিভিন্ন যানবাহনে আহতদের ঢাকা মেডিকেলে পাঠায় বলে তিনি জানান তিনি। 


সর্বশেষ সংবাদ