করোনায় ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে টিউশন ফি কমানোর দাবি
মহামারি করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে অভিভাবকদের আর্থিক দিক বিবেচনা করে শ্রেণিভেদে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলোতে টিউশন ফি শতকরা ৩০ থেকে ৬০ শতাংশ ফি কমানোর দাবি করেছে বাংলাদেশ ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল পেরেন্টস ফোরাম।
আজ শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের মানিক মিয়া হলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সম্মেলনে বক্তারা বলেন, করোনার কারনে স্কুল বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা বাসায় অনলাইনে ক্লাস পরিচালনা করছে। আর এই অনলাইন কার্যক্রমে স্কুলগুলোর বাচ্চাদের যে ধরনের সেবা দেওয়ার কথা তাও তারা দিতে পারছেন না। স্কুলের খেলার মাঠসহ অন্যান্য সুবিধা বাচ্চারা গ্রহণ করতে পারছেন না। কিন্তু তারা স্কুলের ফি পুরোটাই গ্রহণ করছে। অপরদিকে করোনার কারণে অধিকাংশ অভিভাবক আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক অভিভাবক চাকরি হারিয়েছেন। পাশাপাশি অনেক অভিভাবকদের বর্তমান সময়ে আয় কমেছে।
সমাবেশ থেকে বলা হয়, করোনা পরিস্থিাতর কারনে আর্থিকভাবে আমরা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। অনেক অভিভাবক সময়মতো স্কুলের টিউশন ফি দিতে পারছেন না। টিউশন ফি না দেওয়ার কারণে অনলাইন ক্লাস থেকে বাচ্চাদের বের করে দেওয়া হচ্ছে। স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে টিউশন ফিসহ অন্যান্য ফি কমানোর আবেদন করলে, উল্টো তারা অভিভাবকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছে।
বক্তারা আরও বলেন, এর আগেও প্রেস কনফারেন্সে আমরা বলেছিলাম, স্কুল কর্তৃপক্ষ যে সেবা দিচ্ছে তার বিনিময়ে তারা শতকরা ৩০ শতাংশ বেশি নিতে পারেন না। কোনো স্কুল বন্ধ হয়ে যাক সেটাও আমরা চাই না। তাই আমাদের দাবি, করোনা মহামারির সময়ে স্কুল ফি স্কুলের মান অনুযায়ী শতকরা ৩০ থেকে ৬০ শতাংশ কমিয়ে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের শিক্ষার্থীদের শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করতে ২০১৭ সালে প্রকাশিত গেজেট মোতাবেক পরিচালনা করা হোক।
এ সময় সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল প্যারেন্টস ফোরামের সভাপতি এ কে এম আশরাফুল হক, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম সালাহউদ্দিন। এছাড়া ফোরামের পক্ষ থেকে আরও বক্তব্য রাখেন কমল সরকার, মোরশেদা আক্তার, কুতুব উদ্দিন মিয়া, সালমা আলম নুপুর, রিয়াজ আনোয়ার।