মাছ চাষ শিখতে বিদেশ যাবেন ১৪ কর্মকর্তা, ব্যয় ৫৬ লাখ
জাতীয় মাছের চাষ ছড়িয়ে দিতে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। দেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে টেংরা, গুলশা ও পাবদা মাছ চাষ শিখতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ১৪ কর্মকর্তা বিদেশ যাবেন। জনপ্রতি ৪ লাখ টাকা করে খরচ ধরে এই প্রশিক্ষনে বিদেশ গমন বাবদ ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৬ লাখ টাকা।
জানা গেছে, প্রকল্পটিতে কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর বাবদ আরও অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সরকারের ব্যয় সংকোচন নীতির কারণে পরিকল্পনা কমিশন সে বরাদ্দ প্রস্তাবনায় ভেটো দেয়। তবে ১৪ কর্মকর্তার বিদেশ সফরের অংশটুকু বাদ দেওয়া যায়নি।
প্রকল্পের প্রস্তাবনায় বলা হয়, এই প্রকল্পের আওতায় ইউনিয়ন পর্যায়ে গুলশা,পাবদা ও টেংরা মাছ চাষের ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার জনপ্রিয় করা হয়েছে এবং তাতে উৎপাদন বাড়ছে। তিন হাজার ইউনিয়নে প্রান্তিক পর্যায়ের খামারিদের মধ্যে এই কার্যক্রম সফলতা পেয়েছে। ফলে দেশের সবগুলো ইউনিয়নে এই প্রযুক্তি ছড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন। এ কারণে দ্বিতীয় সংশোধনীতে আট বিভাগের ৪ হাজার ৩০০টি ইউনিয়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রকল্পের আওতায় ২২ হাজার ৩৯১টি প্রদর্শনী পুকুর ও সিবিজি প্রদর্শনী স্থাপন, প্রকল্প এলাকায় ১ হাজার ১০৯টি সিবিজি গঠন, মৎস্য প্রযুক্তি বিষয়ক যন্ত্রপাতি (৬১৫টি অ্যারোটর ও ১ হাজার ৪২৫টি ডিজিটাল ওয়াটার টেস্টিং কিট) সংগ্রহ ও দফতরের জন্য সমঞ্জাম সংগ্রহ করা হবে। এছাড়া প্রশিক্ষণ ও কর্মশালার আয়োজনও করা হবে প্রকল্প এলাকায়।
প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য (সচিব) মো. জাকির হোসেন আকন্দ বলেন, প্রস্তাবিত সংশোধিত প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে দেশের ইউনিয়ন পর্যায়ে মাছের উৎপাদন বাড়বে। এতে জনগণের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা বাড়বে।
তিনি বলেন, প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষিত, কারিগরি জনবল তৈরি হবে, যেটি টেকসই মৎস্য উৎপাদনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সহায়ক হবে। অন্যদিকে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর আত্মকর্মসংস্থান বাড়বে, যা দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নকেও ত্বরান্বিত করবে।