তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের কোরআন শেখাচ্ছেন মসজিদের খতীব
ধর্মীয় ট্যাবু ভেঙে এবার ধর্মগ্রন্থ পবিত্র কোরআন শিখছেন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষরা। রাজধানীর কামরাঙ্গীর চরের এক খতীবের এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগে সাড়া দিয়েছেন অর্ধশত হিজড়া। তাদের চাওয়া কোন করুনা নয়, দেওয়া হোক যোগ্যতা অনুযায়ী কাজের সুযোগ। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, হাফিজা মাদ্রাসা বা কওমী মাদ্রাসাগুলোতে যেভাবে ছোট ছোট বাচ্চারা ফ্লোরে বসে শিক্ষকের কাছ থেকে পাঠদান নিয়ে থাকেন ঠিক একই কায়দায় পবিত্র কোরআন পড়াচ্ছেন মসজিদের খতীব। সেখানে তারা সম্পূর্ণ মনযোগ সহকারে খতীবের পড়া শুনে শুনে নিজেরা তা পড়ছেন।
জানা গেছে, মসজিদের খতীব এক মাস আগে ১-২ জন করে শুরু করেছেন কোরআনের এ পাঠদান। বর্তমানে যারা সংখ্যা প্রায় ৫০ জনে দাড়িয়েছে।
দেশে তৃতীয় লিঙ্গের এ মানুুষগুলো অবহেলিতভাবেই জীবনযাপন করে থাকে। তারা সমাজের পাশাপাশি ধর্মীয়ভাবেও অবহেলিত। তাদের প্রশিক্ষক মাওলানা আব্দুল আজিজ বলেন, আল্লাহ পাক তো মানুষের মধ্যে ভাগ করে উল্লেখ করেননি। তিনি সবাইকে মানুষ বলে সম্বোধন করেছেন। কোরআনুল কারীম শিক্ষা করা এবং বোঝা এটা আমাদের সকলের উপর নৈতিক দায়িত্ব। তিনি বলেন, ‘এ মানুষগুলো এতো দিন বঞ্চিত থাকলেও আজকে আমরা তাদের পাশে দাড়িয়েছি’।
এখানে পাঠ নেওয়া এক হিজড়া জানান, আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো লাগে আমরা কোরআন শরীফ পড়তে পারছি। আমি চাই, আমাদের মতো যারা আছে তারাও যাতে কোরআন শরীফ পড়তে পারে সবাই যাতে কোরআনের আলোটাকে নিতে পারে এটাই আমরা চাই।
বাইতুন নুর এসি মসজিদের খতীব ও এ কার্যক্রমের উদ্যোক্তা মুফতি আব্দুর রহমান আজাদ বলেন, স্বাভাবিকভাবে আমাদের ছেলে-মেয়েরা যতটুকু শিখতে পারে তাদের থেকেও এদের মেধা ভালো। তারা বাইরে এলোমেলো চলাফেরা করলেও এরা আভ্যন্তরীণভাবে বেশ পরিপাটি।