রাতের অন্ধকারে টেকনাফ ছাড়লেন ওসি প্রদীপ!
রাতের অন্ধকারে টেকনাফ ছেড়েছেন কক্সবাজারের টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাস। জানা গেছে, এর আগে গত সোমবার গভীর রাতে তিনি টেকনাফ ছেড়ে যান। স্থানীয়দের মতে, পাপের বোঝা পূর্ণ হওয়ায় প্রাকৃতিক বিচার থেকে বাঁচতে পারেননি ‘রক্তখেকো’ প্রদীপ দাশ। গত কয়েক বছরে ইয়াবা নির্মূলের নামে সে যা করেছে, তা ভয়ঙ্কর দানবীয় কাহিনিকেও হার মানাবে।
তারা আরও জানায়, সরকারের মাদক নির্মূলের ঘোষণার পর আশায় বুক বেঁধেছিলেন তারা। মনে করেছিলেন অভিযান শুধু মাদক ব্যবসায়ী ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে হবে। কিন্তু তা হয়নি। টেকনাফে যার পাকাবাড়ি আছে, তাকে ধরে নিয়ে দিনের পর দিন হাজতে রেখে অমানসিক নির্যাতন করে আদায় করেছেন লাখ লাখ টাকা। অভিযোগ ও অনুযোগ করার সুযোগ পায়নি কেউ। ওসিকে টাকা দেয়ার কথা কোনোভাবে প্রকাশ হলেই তার ওপর অথবা তার পরিবারের ওপর চলত ইয়াবার মামলা, হামলা ও অমানসিক বর্বরতা।
টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল বশর জানান, অনেক পুলিশ অফিসার এই সময়ে দেখেছি। কিন্তু টাকার জন্য রক্তের ঘ্রাণ নেয়ার অফিসার দেখিনি। ক্রসফায়ারের নামে মানুষ খুন করা ছিল ওসি প্রদীপের নেশা। সে খুন, ইয়াবার মামলা ও হুমকি দিয়ে টেকনাফে চাকরির সময়ে অন্তত ২০০ কোটি টাকা নিয়ে গেছে।
এর আগে গত ৩১ জুলাই টেকনাফের শামলাপুরে পুলিশের চেকপোস্টে ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর লিয়াকতের গুলিতে নিহত সেনাবাহিনীর মেজর (অব.) সিনহা হত্যা মামলায় আসামি হওয়ার পর বুধবার রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে প্রত্যাহার করে চট্টগ্রাম রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়। কিন্তু তার আগেই গত সোমবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে টেকনাফ ছাড়েন ওসি প্রদীপ। তবে তিনি বর্তমানে কোথায় আছেন, তা বলতে নারাজ পুলিশের কর্মকর্তারা।
এদিকে কক্সবাজার পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন বলেন, ‘টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে প্রত্যাহার করে চট্টগ্রাম রেঞ্জ অফিসে সংযুক্ত করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বর্তমানে থানার ওসি (তদন্ত) এবিএমএস দোহা দায়িত্বে রয়েছেন।