যা দেখেছি তাই বলেছি, কাউকে আহত করতে চাইনি: রায়হান
আলজাজিরায় সাক্ষাৎকার দিয়ে মালয়েশিয়ায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি তরুণ রায়হান কবির বলেছেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে প্রবাসীদের প্রতি যে আচরণ তিনি দেখেছেন সেটাই বলেছেন। তবে তিনি তার কথায় মালয়েশিয়ার কাউকে আহত করতে চাননি।
আজ বুধবার (২৯ জুলাই) সকাল ১১ টায় রায়হান কবিরের সঙ্গে দেখা করর পর এসব তথ্য জানান তার আইনজীবী সুমিতা শান্তিনি কিষনা।
রায়হানের আইনজীবী সুমিতা শান্তিনি বলেন, প্রায় ঘণ্টাখানেক রায়হানের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাকে আমরা জানিয়েছি যে দেশের মানুষ তার সঙ্গে আছে। তার সঙ্গে কথা বলার পর মনে হয়েছে সে সুস্থ ও আত্মবিশ্বাসী রয়েছে।
তিনি বলেন, রায়হান জানিয়েছেন গ্রেপ্তারের পর তার সঙ্গে কোন দুর্ব্যবহার করা হয়নি। জিজ্ঞাসাবাদে রায়হান ইমিগ্রেশন পুলিশকে বলেছেন, করোনাকালে তিনি যা দেখেছেন তাই বলেছেন এবং এগুলো তার একান্তই নিজস্ব অনুভূতি।
এর আগে গত শনিবার দেশটির ইমিগ্রেশনের মহাপরিচালক খাইরুল ডিজাইমি দাউদ এক বিবৃতিতে জানান, ২৫ বছর বয়সী রায়হান কবিরকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, যাতে আর কখনো তিনি মালয়েশিয়ায় ফিরতে না পারেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশি প্রবাসীদের সঙ্গে মালয়েশিয়ার পুলিশ দুর্ব্যবহার করছে, এমন অভিযোগ করে আলজাজিরা টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দেওয়ায় রায়হান কবিরের বিরুদ্ধে এসব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে’।
এ বিবৃতির পরেই রায়হান কবিরকে ১৪ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ। দেশটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমির হামজা জয়নুদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, তদন্তের সার্থেই রায়হানকে ১৪ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, গত ৩ জুলাই আল জাজিরার ইংরেজি অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে ‘লকডআপ ইন মালয়েশিয়ান লকডাউন-১০১ ইস্ট’ শীর্ষক একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে মালয়েশিয়ায় থাকা প্রবাসী শ্রমিকদের প্রতি লকডাউন চলাকালে দেশটির সরকারের নিপীড়নমূলক আচরণ উঠে আসে। প্রতিবেদনে দেখা যায়, রায়হান কবির নামের এক বাংলাদেশি এই নিপীড়নের প্রতিবাদ করেছেন।
প্রসঙ্গত, ৩ জুলাই তার বিরুদ্ধে মামলা করে মালয়েশিয়ান সরকার। পরে ৭ জুলাই তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয় এবং ১৫ জুলাই বাতিল করা তার ভিসা। এরপর গত শুক্রবার কুয়ালালামপুরের একটি কনডোমিনিয়ামে থেকে রায়হান কবিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।