বাংলাদেশি রায়হানের জন্য লড়বেন মালয়েশিয়ার ২ আইনজীবী
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে শ্রমিক দুর্দশা নিয়ে আলজাজিরায় সাক্ষাৎকার দেয়ার অপরাধে মালয়েশিয়ায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি তরুণ রায়হান কবিরের মুক্তির জন্য আইনি লড়াইয়ে নামার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির ২ জন আইনজীবী।
আজ রবিবার ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, আইনজীবী সুমিতা শান্তিন্নি কিশনা এবং সেলভরাজ চিনিয়াহ প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মামলার সঙ্গে নিজেদের অন্তর্ভুক্তির ঘোষণা দিয়েছেন।
দেশটির এ দুই আইনজীবী গতকাল রাতে জানান, তারা ইতিমধ্যে মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ এবং রয়্যাল মালয়েশিয়া পুলিশকে তাদের নিয়োগের বিষয়ে অবগত করেছেন। তারা বলেন, ‘চিঠিতে আমরা আমাদের ক্লায়েন্টের সঙ্গে দেখা করার তারিখ চেয়েছি। সোমবার দুপুর দুইটার দিকে আমরা বুকিত আমানে থাকব’।
দেখুন: বাংলাদেশি রায়হানের মুক্তি চায় ২১ অভিবাসন সংগঠন
এর আগে শনিবার দেশটির ইমিগ্রেশনের মহাপরিচালক খাইরুল ডিজাইমি দাউদ এক বিবৃতিতে বলেন, ২৫ বছর বয়সী রায়হান কবিরকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, যাতে আর কখনো তিনি মালয়েশিয়ায় ফিরতে না পারেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশি প্রবাসীদের সঙ্গে মালয়েশিয়ার পুলিশ দুর্ব্যবহার করছে, এমন অভিযোগ করে আলজাজিরা টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দেওয়ায় রায়হান কবিরের বিরুদ্ধে এসব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে’।
এ বিবৃতির পরেই রায়হান কবিরকে ১৪ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ। দেশটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমির হামজা জয়নুদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, তদন্তের সার্থেই রায়হানকে ১৪ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, গত ৩ জুলাই আল জাজিরার ইংরেজি অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে ‘লকডআপ ইন মালয়েশিয়ান লকডাউন-১০১ ইস্ট’ শীর্ষক একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে মালয়েশিয়ায় থাকা প্রবাসী শ্রমিকদের প্রতি লকডাউন চলাকালে দেশটির সরকারের নিপীড়নমূলক আচরণ উঠে আসে। প্রতিবেদনে দেখা যায়, রায়হান কবির নামের এক বাংলাদেশি এই নিপীড়নের প্রতিবাদ করেছেন।
প্রসঙ্গত, ৩ জুলাই তার বিরুদ্ধে মামলা করে মালয়েশিয়ান সরকার। পরে ৭ জুলাই তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয় এবং ১৫ জুলাই বাতিল করা তার ভিসা। এরপর গত শুক্রবার কুয়ালালামপুরের একটি কনডোমিনিয়ামে থেকে রায়হান কবিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।