কোরবানি দিতে পারবে না ৩৫ শতাংশ মানুষ
বাংলাদেশ ডেইরি ডেভেলপমেন্ট ফোরাম (বিডিডিএফ) সাধারণ সম্পাদক ও দেশের বৃহত্তম এগ্রো ফার্ম সাদিক এগ্রো লিমিটেডের মালিক ইমরান হোসেন বলেছেন, ‘দেশের অর্থনীতি ভালো না। মানুষ চাল-ডাল কিনবে না গরু কিনবে? প্রতিবার কোরবানি দেন এমন ৩০ থেকে ৩৫ ভাগ মানুষ এবার ঈদে কোরবানি দিতে পারবেন না।’
তিনি বলেন, বিগত বছরগুলোতে দেখা গেছে, হাটে গরু আনতে গেলে পথে ঘাটে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়। এসব সমস্যা পার হয়ে হাটে আসাও কঠিন বিষয়। এবার বড় গরু কোরবানি কম হবে। ৩-৪ লাখ টাকা দিয়ে যারা বড় গরু কোরবানি দিতেন এবার তারা এক লাখ টাকার মধ্যে কোরবানি দেবেন।
পবিত্র ঈদুল আজহা মুসলমানদের জন্য দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব। এই দিনটিতে সামর্থ্যবান মুসলমানরা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য তাদের প্রিয় পশু কোরবানি করেন। অত্যন্ত আনন্দ, উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয় দিনটি। কিন্তু এবার সে পরিস্থিতি নেই।
দেখুন: কুরবানি না করে অর্থ গরিবদের মধ্যে বিতরণের সুযোগ নেই
এদিকে কোরবানির হাটে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যাপারে সরকার পক্ষ থেকে কতটুকু উদ্যোগ নেওয়া হবে তা নিয়েও সংশয় রয়েছে সংগঠনটির। তারা বলছে, কোরবানির হাট এমনিতেই অপরিচ্ছন্ন থাকে। তাই গরু রাখার জায়গাগুলো যদি নিরাপদ দূরত্বে না থাকে, তাহলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে।
প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, করোনার কারণে বিশ্বজুড়ে যে আর্থিক সংকট দেখা দিয়েছে, তাতে সাধারণ মানুষের কাছে নগদ অর্থের অভাব দেখা দিয়েছে। ফলে এবার গরুর হাটে বিক্রি কম হতে পারে। করোনার কারণে সীমান্ত বন্ধ থাকাসহ নানা কারণে এবারও ভারতীয় গরু বাংলাদেশে আসবে না। তাছাড়া বাংলাদেশে যে পশু আছে কোরবানির জন্য তা যথেষ্ট।
বাংলাদেশ ডেইরি ডেভেলপমেন্ট ফোরাম (বিডিডিএফ) সভাপতি অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম বলেন, বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে যে পরিস্থিতি চলছে তাতে সমস্যা তো হবেই। কারণ করোনা পরিস্থিতির কারণে অনেকের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খারাপ হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, একজন আইনজীবী হিসেবে বলতে চাই, আমাদের ৬০ হাজার আইনজীবী আছেন। এর মধ্যে ২০ হাজার আইনজীবী কোরবানি দিতে পারবেন। বাকি ৪০ হাজার আইনজীবী কোরবানি দিতে পারবেন না। এ রকম বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার অর্ধেক মানুষই নানাভাবে আর্থিক সংকটে ভুগছেন।