এলজিএসপি ড্রেনের কাজ বন্ধ, পানিবন্দি পাঁচ শ মানুষ
নীলফামারী জলঢাকার ২নং ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের নেকবক্ত বাজারের চলমান লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্ট (এলজিএসপি) ড্রেনের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় কিছু লোকজন। গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে নেকবক্ত বাজারের নেমে আসা পঁচা দুর্গন্ধযুক্ত পানিতে খেলার মাঠসহ গ্রামটির সকল রাস্তা প্লাবিত হয়ে গেছে।
ভারী বর্ষণে পানি যেতে না পারায় গুচ্ছগ্রামে শিশুসহ প্রায় ৫০০ লোক পানিবন্দী হয়ে তাদের রান্নার চুলাসহ ডুবে গেছে। এতে যাতায়াত ভোগান্তিতে পড়েছে সিদ্ধেশ্বরীর প্রায় ৫ হাজার মানুষ।
দ্রুত ড্রেন নির্মাণ করে সৃষ্ট সমস্যার সমাধান দাবী করে রবিবার সকাল ১০টায় মানববন্ধন করে প্রতিবাদ জানান নেকবক্ত গ্রামবাসী। মানবন্ধনে তারা তাদের পানিবন্দি জীবনের নানামুখী সমস্যার কথা তুলে ধরেন। তারা বলেন, এখানে এলজিএসপির ড্রেনের বাজেট আছে।
অর্ধেক ড্রেন আছে কিন্তু কিছু লোকের কারণে বাকি অর্ধেক করা যাচ্ছে না। তারা ড্রেনের যায়গা ছেড়ে দিচ্ছে না। তারা বলছেন, গ্রামের কিছু প্রভাবশালী মানুষ রাস্তার সাথে তাদের বাড়ি নির্মাণ করেছে। এখন যদি ড্রেনেজ ব্যবস্থা করা হয় তাহলে তাদের বাড়ি ভাঙতে হবে। এজন্য তারা এলজিএসপির ড্রেনের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।
মানববন্ধনে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে শিশু, নারী, শিক্ষার্থী ও বৃদ্ধসহ সবাই দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানান। প্ল্যাকার্ডগুলোতে পানিবন্দির কারণে সৃষ্ট সমস্যাগুলো উল্লেখ করেন তারা।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী এবং নেকবক্ত গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দা আশাদুজ্জামান আসাদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জলঢাকা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমাণ্ড যুগ্ম আহব্বায়ক আতাউল বারী আপেলসহ স্থানীয় আরো অনেকে।
ভুক্তভোগী হাসনা বানু (৫৫) তার বক্তব্যে বলেন, 'এখানে একটু পানি হইলে বাড়িত পানি সোনদায়, হামার বাইর হওয়ার আস্তা নাই। এটে হামার ড্রেন করা খুউব দরকারী।'
২নং ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রোকনুজ্জামান খোকন বলেন, 'এখানে এলজিএসপি এর ড্রেন বরাদ্ধ আছে। কিন্তু কতিপয় লোক আমাকে কাজ করতে দিচ্ছে না।'
এসময় অন্যানের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়স্থ ছাত্র সংগঠন জলঢাকা ছাত্র পরিষদের সাবেক সভাপতি আজিজুল ইসলাম আজিজ, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী মিরু চৌধুরী, নাজির আহমেদ সহ স্থানীয় আরও অনেকে।