৩৮তম বিসিএসে তৃতীয় হলেন ৩৯-এ প্রথম হওয়া নীলিমা, উৎসর্গ নিজেকেই
নীলিমা ইয়াসমিনের ঝুলিতে আরেকটি সফলতা ধরা দিল। ৩৯তম বিশেষ বিসিএসে (স্বাস্থ্য) প্রথম হওয়া এই ডাক্তার ৩৮তম বিসিএসে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর স্বর্ণপদক লাভ করেন নীলিমা। এছাড়াও ২০১৬ সালে চিকিৎসকদের চূড়ান্ত পেশাগত পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করার মত গৌরবজ্জ্বল অর্জন রয়েছে তার।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন নীলিমা। বিসিএস জয়ের গল্প বর্ণনা করে নীলিমা জানান, আমার বিসিএসের যাত্রাই শুরু হয় ৩৮তম দিয়ে। ২০১৬ সালে ইন্টার্নশীপের সময় বাবুকে পেটে নিয়ে। এফসিপিএস পরীক্ষার তিন দিন আগে ছিল প্রিলিমিনারি। ছোট বাবু নিয়ে কী করে যে দুইটা পরীক্ষায় পাস করেছিলাম; শুধু আমিই জানি!
এর পর মাঝে আসলো ৩৯তম, তার তিনদিন পর ৩৮তম রিটেন। আবার ৩৮তম মেডিকেল সায়েন্স রিটেন, ৩৯তম ভাইবা আর রেসিডেন্সি পরীক্ষা— সব একসঙ্গে জট পাকিয়ে গেল। ফলাফল— ৩৯তম বিসিএস প্রথম, ৩৮তম বিসিএস (স্বাস্থ্য-৩য়), এফসিপিএস প্রথম পর্ব পাস, এমএস রেসিডেন্সি (গাইনী বিএসএমএমইউ- প্রথম), প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক লাভ, এমআরসিওজি (লন্ডন) পার্ট ওয়ান পাস।
তিনি বলেন, এই সবকটি অর্জনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে এবং বাধা হিসেবে জড়িয়ে ছিল এই বিসিএসটি। শেষ পর্যন্ত ভাইভা বোর্ডে যেতে পারব কিনা- তা নিয়েও ছিল অনেক বাধা। ভাইবা দিতে পারব কিনা সেটাও জানতাম না। ভাইভা দেয়ার ঠিক আগ মুহূর্তেও আমাকে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হলো ৩৯-এ প্রথম হয়েও কেন ৩৮তম দিতে আসলাম।
কিন্তু আমি তো জানি এই বিসিএসটা আমার জন্য শুধু বিসিএস না, একটা ইমোশন ও দীর্ঘস্থায়ী কষ্ট; যার শেষ আমাকে দেখতেই হবে। জানিনা এর পর কী হবে জয়েন করতে পারব কিনা বা পারলেও সিনিয়রিটি পাব কিনা চাকরিকালযোগ হবে কিনা (আমাকে যথাসময়ে কোর্সে ফিরতে হবে)। যাই হোক সবশেষে আলহামদুলিল্লাহ। এই প্রাপ্তিটা আমি নিজেকেই উৎসর্গ করলাম। কারণ, অসংখ্য কষ্ট আর বাধার পরও ধৈর্যধারণ করতে পেরেছি। আর সেই সঙ্গে মহান আল্লাহ্র দরবারে শত কোটি শুকরিয়া।