একাত্তরের পর এখন মানুষের এত ভালোবাসা পাচ্ছি : ডা. জাফরুল্লাহ
করোনা জয়ের পর ‘কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও চিকিৎসা ব্যয় নিয়ে আলোচনার’ আয়োজন করেছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘আপনারা যে এতজনে দোয়া করেছেন, পথে-ঘাটে, যে যেখানে পেরেছে, তা অকল্পনীয়। মানুষ যে একটা মানুষকে এত ভালোবাসতে পারে, বুঝতে পারিনি। যুদ্ধের পরে এই দেখলাম, একাত্তরের যুদ্ধে পেয়েছিলাম ভালোবাসা, আর এখন পাচ্ছি।’
বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের গেরিলা কমান্ডার মেজর এ টি এম হায়দার বীর উত্তম মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন ডা. জাফরুল্লাহ।
আলোচনার শুরুতে সঞ্চালক বলেন, আপনাদের সাথে সরাসরি কথা বলতে ডা. জাফরুল্লাহর একটু সমস্যা হবে। যতটা কম কথা বলা যায়, সেটাই হলো মূল লক্ষ্য।
এরপর তিনি আজকের আয়োজনের তিনটি বিষয়ের কথা বলেন। প্রথম বিষয়ে তিনি সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এরপর তিনি তার করোনা চিকিৎসার ব্যয়ের কথা বলেন এবং তৃতীয় ধাপে অতিরিক্ত আলোচনা হিসেবে ‘করোনা বনাম বিশ্ব পুঁজিবাজার ২০২০-২১ বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট’ বিষয়ে আলোচনার কথা জানান।
এসময় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, করোনার সংকটে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। সরকার অন্ধকার ঘরে কালো বিড়াল খুঁজছে। করোনা চিকিৎসায় সরকারের পদক্ষেপ যথাযথ নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি জানান, তার করোনা চিকিৎসায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। ৮২ হাজার লিটার অক্সিজেন কনজ্যুইম করেন তিনি। তার ফুসফুসে ৮০ ভাগ নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলো।
এর আগে ২৫ মে তিনি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষা হলে তার করোনা পজিটিভ আসে।
এদিকে গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার কিছুদিন পর থেকে এই ভাইরাস শনাক্তরণে কিট উদ্ভাবনে নামে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। ড. বিজন কুমার শীলের নেতৃত্বে বিজ্ঞানীদের একটি দল তা উদ্ভাবনও করেছে। এরপর থেকে দেশের মানুষের ভালোবাসা বাড়তে থাকে ডা. জাফরুল্লাহর প্রতি। যদিও তার প্রতিষ্ঠানের উদ্ভাবিত কিট এখন সরকারের কাছ থেকে অনুমোদন পায়নি।