২৩ জুন ২০২০, ১৬:৩১

করোনা–ব্যর্থতায় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অপসারণ চাইলেন বিএনপির এমপি হারুন

  © সংগৃহীত

চলতি বাজেট অধিবেশনে অংশ নিয়ে প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদ থেকে ওয়াকআউট করেছেন বিএনপির সাংসদ হারুন-অর-রশীদ। ওয়াকআউটের আগে বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি দেশের করোনা পরিস্থিতিতে ব্যর্থতার দায়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অপসারণ চেয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার (২৩ জুন) বেলা একটার দিকে হারুন-অর–রশীদকে ১২ মিনিট আলোচনার সুযোগ দেন স্পিকারের দায়িত্ব পালন করা ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া। শুরুতেই হারুন তাঁর সময় আরও বাড়িয়ে দেওয়ার আরজি জানান স্পিকারের কাছে।

হারুন-অর–রশীদ তাঁর বক্তৃতা শুরু করেন ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন’ দিয়ে। তখন স্পিকার তাঁকে থামিয়ে এভাবে শুরু করার কারণ জানতে চান। তখন হারুন-অর-রশিদ বলেন, তিনি এটা বলেছেন, তার কারণ আছে। বক্তব্যের শেষের দিকে তিনি তার ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। এই বিষয়ে ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, এমনভাবে শুরু আমার সাতবারের সংসদ সদস্য জীবনে দেখিনি। আপনাকে (হারুন-অর রশীদ) অবশ্যই এর ব্যাখ্যা দিতে হবে।

বক্তব্যের একপর্যায়ে হারুনুর রশীদ বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডিজিকে ফোন করে মেসেজ দিয়ে সাড়া পাওয়া যায় না। ওই অফিসের পিএস, পিএ, পরিচালক কেউই ফোন ধরেন না। চীনা বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশের করোনা ব্যবস্থাপনা পরিস্থিতিতে হতাশা প্রকাশ করেছেন। স্বাস্থ্য অধিদফতর একটি বিকলাঙ্গ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এগুলো পরিবর্তন করেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে সরিয়ে দিন। তাদের সরিয়ে দিয়ে এই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য উপযুক্ত ও প্রতিশ্রুতিশীল ব্যক্তিদের সেখানে বসাতে হবে।

করোনা চিকিৎসায় অব্যবস্থাপনার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, বিএমএ আওয়ামী লীগের একটি প্রতিষ্ঠান। তারা বলেছেন, ‘করোনা চিকিৎসায় মৃত্যুর দায় মন্ত্রণালয় এবং অধিদফতরের।’ এটা বাস্তব কথা। করোনার এই দুঃসময়ে কিট বা করোনার সামগ্রী, কোভিড হাসপাতালে চিৎিসকদের কী দুরবস্থা। রোগীরা কী অবস্থায় আছেন। কোনও খবর নেই।

হারুন বলেন,  এই করোনা পরিস্থিতি দীর্ঘস্থায়ী হলে তা আমাদের জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ। দেশে এখন জাতীয় যে সংকট তৈরি হয়েছে, তা থেকে উত্তরণের জন্য জাতীয় ঐক্য দরকার। আর  ঐকমত্য প্রশ্নে যে ক্ষতগুলো সৃষ্টি হয়েছে,  খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে যে হাজার হাজার মামলা হয়েছে, তা প্রত্যাহার করে নিতে হবে।